আজ ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশ বাঁচাতে মধ্যবর্তী নির্বাচন চায় বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি


দেশ বাঁচাতে প্রত্যেক উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের একজনকে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় দেখতে চায় বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি। দলটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বর্তমান দেশের টালমাতাল পরিস্থিতিতে ঐক্যের বিকল্প নেই। ঐক্য না হলে গৃহযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়বে। তাই দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেজন্য বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সৎ রাজনীতিবিদদের এক প্লাটফর্মে দেখতে চায়। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ মতাদর্শে বিশ্বাসীরা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিলে বিজয়ী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হবে। পরবর্তীতে মধ্যবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি ত্বরান্বিত করতেও এই নেতারা একযোগে কাজ করলে দেশ রক্ষা পাবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি। শনিবার (০৬ এপ্রিল) রাজধানীর পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী।

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির প্রতিষ্ঠাতা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের স্বার্থকে বিকিয়ে দিয়েছে। এরই সুযোগ নিয়েছে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য শক্তি। এসব দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি ফেনী থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ এলাকার মানচিত্রে হাত দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশের সচেতন মানুষ এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। তবে বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে দেশপ্রেমিক ও সৎ রাজনীতিবিদদের। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি সেই রাজনীতিবিদদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি মনে করে, দেশকে বাঁচাতে হলে চলতি বছরের মধ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় দেশে আরও বেশি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সৎ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের এক প্লাটফর্মে আনার ফর্মুলা তুলে ধরে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ১৯৯১ সালে যে ৮৮টি আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল, সেসব বিজয়ী আসনের বিতর্কহীন আওয়ামী লীগের নেতাদের এক্ষেত্রে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। পরবর্তী মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি আদায় হলে তাতে অংশ নিতে ইচ্ছুক আওয়ামী লীগ নেতাকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য রাজনীতিবিদদের এক প্লাটফর্মে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। যেখানে অন্য বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সৎ নেতারা গুরুত্ব পাবেন। পাশাপাশি স্থানীয় এই নির্বাচনে বাছাই করা প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিতেও এই আওয়ামী লীগ নেতা কাজ করবেন। তবে পরবর্তী আওয়ামী লীগের এই নেতাদের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী করতে এই জনপ্রতিনিধিরা কাজ করবেন এমন আগাম প্রতিশ্রুতিও নিতে হবে।

মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী বলেন, এর বাইরে দুই শতাধিক সংসদীয় আসনের উপজেলা নির্বাচনের তিন পদে বড় দলগুলোর নেতাদের মধ্য থেকে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য কাউকে সৎ রাজনীতিবিদদের বাছাই করার দায়িত্ব নিতে হবে। যিনি অন্য দলগুলোর সৎ ও গ্রহণযোগ্য রাজনীতিবিদদের একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসবেন। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে তাদের বিজয়ী করতে কাজ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী শেখ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবু ইউসুফ জোবায়ের উল্লাহ, সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুমন কুমার রায়, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান বঙ্গদ্বীপ এম এ ভাসানী, এডভোকেট লালন শেখ প্রমুখ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর