আজ ৯ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

ফুরিয়ে যাচ্ছে মাগফেরাতের দিনগুলো, কোন দোয়াগুলো বেশি পড়বেন


অনলাইন ডেস্কঃ পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে রমজান মাসের প্রথম দশদিন রহমত, দ্বিতীয় দশদিন মাগফেরাত ও শেষ দশদিন বান্দার নাজাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ।

প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (স.) বলেছেন, ‘আমার নিকট জিব্রাইল (আ.) উপস্থিত হয়ে বললেন, হে মুহম্মদ (স.), যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজেকে ক্ষমা করিয়ে নিতে পারলো না, সে বঞ্চিত হয়ে যাক, সে হতভাগা। তখন আমি বলেছি, আমিন। (অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাই করুন)।’

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) চলতি রমজানের ১৪ দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
এ দিনগুলোকে মাগফিরাতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে বলে ঐশী গ্রন্থে উল্লেক রয়েছে। যে ব্যক্তি মাগফিরাতের এই দশদিনে আর্রাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মহান আল্লাহ তা কবুল করে নেন।

এসশয় বেশি বেশি মাগফেরাতের দোয়া করার কথা বলেছেন মুসলিম উম্মাহর পত নির্দেশকরা। যদিও অন্য যে কোনো দোয়া করতেও নিষেধ নেই। বরং যে কোনো দোয়া যত বেশি করা যায় ততই ভালো। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত একটি দোয়া হলো رَبِّ إِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ فَاغْفِرْ لِىْ উচ্চারণ: ‘রব্বি ইন্নী যলামতু নাফসী ফাগফিরলী।’ অর্থ : ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফসের প্রতি জুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (সূরা আল কাসাস: ১৬)

আরও পড়ুন ইতেকাফে দূরে যায় জাহান্নাম, মিলবে স্রষ্টার নৈকট্য

অথবা এই দোয়াটি করা যায়— أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ উচ্চারণ:‘আনতা ওয়ালিয়্যুনা- ফাগফিরলানা- ওয়ারহামনা- ওয়া আনতা খাইরুল গা-ফিরীন।’ অর্থ:‘আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদের ক্ষমা করে দিন এবং আপনি উত্তম ক্ষমাশীল।’ (সুরা আল আ‘রাফ: ১৫৫)

এ সংক্রান্ত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া রয়েছে পবিত্র কুরআনে। এগুলোও পড়তে পারেন। যেমন- رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ উচ্চারণ: ‘রব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর র-হিমীন।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব! আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা আল মুমিনুন: ১১৮) আরেকটি দোয়া হলো- رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ উচ্চারণ: ‘রব্বানা- আতমিম লানা- নূরানা- ওয়াগফিরলানা- ইন্নাকা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।’ অর্থ : ‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।’ (সুরা আত-তাহরিম: ০৮)

এই দোয়াটিও পড়তে পারেন- سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ উচ্চারণ : ‘সামি‘না- ওয়া আত্বা‘না- গুফরা-নাকা রব্বানা- ওয়া ইলাইকাল মাসীর।’ অর্থ : ‘আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই (নিকট) ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। (সুরা বাকারা: ২৮৫)

প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই দিনগুলোতে বেশি বেশি তওবা করা এবং নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়া। কারণ, আল্লাহ তায়ালা এই মাসে গুনাহ মাফের ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর