ফারুকুর রহমান বিনজু- পটিয়া
পটিয়া পৌরসভার তিনবছর পূর্তিতে পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল পটিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক দের নিয়ে পৌরসভার মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। গত ১৪ই মার্চ এর সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র আইয়ুব বাবুল বলেন ভিজিএফ ও টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে শতভাগ স্বচ্ছতায় বরাদ্দ কৃতদ্রব্য দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেছি।বিতরণে কোন প্রকার অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করিনি। সরকারি নির্দেশনায় পৌর এলাকার অসহায়, দু্স্থ,গরিব বয়স্ক,বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃদুগ্ধদের নিবন্ধনের মাধ্যমে সরকারি ভাতা প্রদান করে আসছি। কাউন্সিলরদের সুপারিশক্রমে,পৌরবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পৌরসভার নিজের তহবিল থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী পড়া লেখায়,দুস্থদের চিকিৎসা, মেয়ের বিবাহ,বিধবা নারীদের আর্থিক সাহায্য প্রদানকরা হয়।রমজান মাসে হাফেজদের ও দূর্গাপূজায় পূজামন্ডপে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়।পৌর এলাকায় কৃষকদের মৌসুমে বীজ ও সার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। করোনা কালে পৌরসভায় বরাদ্দকৃত ১টি টিকাকেন্দ্র থেকে ১১টি কেন্দ্র করা হয়।প্রতি ওয়ার্ডে মাস্ক ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়। খ্যাতিমান ১৫জন গুণী ব্যক্তি,৪০জন বীর মুক্তি যোদ্ধাকে পৌরসভার পক্ষ হতে সংবর্ধনা প্রদানকরা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ড হতে ৫জন করে ৫০জন নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে২০২৩ সাল থেকে নগদ ২০০০ টাকা,শিক্ষা সনদ,শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
রক্ত দান কর্মসূচি ও ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প,কর্মচারী চিকিৎসা জনিত নিয়মিত ভাতা প্রদানকরা হয়। যেমন প্রকৌশল বিভাগের হারুনুর রশিদ ১লাখ,বিদ্যুৎ বিভাগের শহীদুল ইসলাম ৫০হাজার,সুরঞ্জিত সেন ২০হাজার,সেবক খোকন সর্দ্দার ৫ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা দেয়া হয়।স্ব স্ব কাউন্সিলরগণ রাস্তাঘাট কার্পেটিং,আরসিসি ঢালাই,ড্রেন কালভার্ট,পুকুরঘাট নির্মাণ,কবরের মাটি ভরাট ও ওয়াল নির্মানের কাজসমূহ প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। সুচক্রদন্ডীতে ২৮+২শতক,পাইকপাড়া ১৫শতক,ইন্দ্রপুল ৮১ শতক,পুরান থানাহাট২৮শতক ভুমি পৌরসভার মালিকানায় আছে। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর থেকে ২কোটি ৫০লাখ ও কোভিট প্রকল্প হতে ৬০লাখ পাওয়া বরাদ্দ টাকা দিয়ে নতুন থানা হাট আধুনিকয়ান করা হয়। ট্রাক টার্মিনাল পুননির্মাণে ১১লাখ টাকার প্রকল্প উন্নয়নের কাজ চলছে।পৌর কবরস্থান, সড়ক ও জনপদের রাস্তা স্বসকার,জলবদ্ধতা নিরসন ও আলোকরন,পরিস্কার পরিচ্ছনতা উন্নয়নের কার্য্যক্রম চলছে। মরা খাল খননের জন্য ১কোটি৬০লাখ বরাদ্দের টাকা দিয়ে খনন করা হয়। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ডাম্পিং ষ্টেশন, শিশু পার্ক, ৪,৫,৬,ওয়ার্ডে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,যাত্রী ছাউনি, মহাশশ্ণান,পাঠাগার, কর্মজীবি নারীর প্রশিক্ষন,স্বাস্থ্যসেবা,মেয়র টুর্নামেন্ট,স্টেডিয়াম নির্মান পরিকল্পনায় আছে। এছাড়া আদালত ও উপজেলা পুকুরের ওয়ার্কওয়ে,সৌন্দর্য বর্ধন,আলোকিতকরণ কাজ ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্য্যাদেশ প্রদানের ও সাহিত্য বিশারদ কমপ্লেক্স নির্মাণ পুনঃটেডার প্রক্রিয়াধীন আছে। এ সময় পটিয়া সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলরগণ, পৌর কর্মকর্তা,বৃন্দগণ ওয়ার্ডের ঞ্জনীগুনী ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply