অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রাম বায়েজিদ বোস্তামি মুজাদ্দেদিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খাজা মুহাম্মদ হাবিব (আবদুল হাকিম) নকশবন্দি মুজাদ্দেদী বলেছেন, ‘বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন ঐক্যের মশাল।’
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) চুনতির ১৯ দিনব্যাপী ৫৩তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) এর ১৬তম দিবসের আলোচনায় ‘বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনবৃত্তান্ত’ সম্পর্কে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
যুগশ্রেষ্ঠ আলেম হযরত মাওলানা হাফেজ আহমদ প্রকাশ শাহ সাহেব কেবলা চুনতি কর্তৃক প্রবর্তিত এই মাহফিল চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি শাহ মনজিল সীরত ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বায়তুশশরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে চুনতি হাকিমিয়া (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন ও সিনিয়র শিক্ষক জিয়াউল করিমের যৌথ সঞ্চালনায় আজকের মাহফিলে কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেছেন মুহাম্মদ হামিম আহসান, মুহাম্মদ রবিউল হাসান, আইমান কবির জিহাদ। না’আতে রসূল (সা.) পরিবেশন করেন আনোয়ারুল ইসলাম, হাফেজ মুহাম্মদ মুজাহিদুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, খলিলুল্লাহ সোহাগ।
আজ মাহফিলে বিশেষ মেহমান ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
এসময় ‘ইসলামে নিকাহের গুরুত্ব ও শরয়ী বিধান, বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদী ও যৌতুক প্রথার কুফল বর্ণনা’ বিষয়ে আলোচনা করেছেন চট্টগ্রাম কদমতলী জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা আবু তৈয়ব, ‘গীবত, চরিত্রহনন, কুৎসা রটনা ও অন্যের দোষ খোঁজা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ; এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকা মারকাযু তাহরিকে খতমে নবুয়্যত কারামাতিয়া মাতলাউল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা আবদুর রহিম, ‘আল্লাহর গজব নাযিলের কারণ; পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপর বিভিন্ন সময়ে নাযিল হওয়া গজবের বর্ণনা’ বিষয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ বাড্ডা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি মনজুর হোছাইন।
আরও পড়ুন চুনতির সীরতুন্নবী (স.) মাহফিলের ১৫তম দিবসের আলোচনা
খাজা মুহাম্মদ হাবিব (আবদুল হাকিম) নকশবন্দি মুজাদ্দেদী বলেন, ‘বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন জীবন ও বিপ্লবের শান্তির প্রতীক। ছিলেন ঐক্যের মশাল, নিরাপত্তা ও কল্যাণের বার্তাবাহক। মানবজাতিকে তিনি সত্য, সরল ও শান্তির পথে আহবান করেছেন। ডেকেছেন মিল্লাতে ইবরাহীমের দিকে। পরিচালিত করেছেন আদর্শের পথে, যেন তারা ইহকাল-পরকালে শান্তি লাভ করে সফল জীবন অর্জন করতে পারে। রাসূল (সা.) কে শান্তি ও কল্যাণের জন্য বিশ্ববাসীর রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করে আল্লাহ তাআলা বলেন-‘আমি তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন মোতাওয়াল্লী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দিনার নাজাত, আলহাজ্ব আবু তাহের, এম. মাহাবুবুল হক, মাওলানা অলিউদ্দিন, শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার, সাইফুউদ্দিন মোহাম্মদ তারেক, মাওলানা আব্দুল খুদ্দুস, সাংবাদিক সোহেল তাজ প্রমূখ।
Leave a Reply