অনলাইন ডেস্কঃ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধী রাজনীতির দুই পরাশক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ও গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ ঘোষণা জানায় দল দুটি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন আওয়ামী লীগ-বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের হুঁশিয়ারি
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির নেতৃত্বে এ গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। গণমিছিলের সময় পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এই অবৈধ সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকানোর জন্য গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আদালত, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যারাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছেন তারাই শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। তিনি এখন আদালতকে দিয়ে প্রতিহিংসা পূরণ করছেন।
আরও পড়ুন কর্মসূচির অনুমতি নিতে ডিএমপিতে যাচ্ছে বিএনপি
এর আগে, সর্বশেষ গত ১১ আগস্ট এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল করে বিএনপি। সেদিন দুপুর ৩টা থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে পৃথক দুটি গণমিছিল হয়।
এদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম জানিয়েছেন, আগামী ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের পর তার জানাজা নামাজে বাধা, দেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাজা নামাজে হামলা, সারাদেশে কয়েক শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত
তিনি জানান, ‘কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঢাকা মহানগরীতে এবং ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার দেশের অন্যান্য মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন জামায়াতের ‘আমির’ শফিকুর আটক
তিনি জানান, ‘সরকারের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ১৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গত ১৮ আগস্ট শুক্রবার দেশব্যাপি দোয়া অনুষ্ঠান এবং ২৩ আগস্ট বুধবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সরকার সংবিধান স্বীকৃত শান্তিপূর্ণ মিছিলের কর্মসূচিতেও বাধা দিয়েছে। সরকার সারা দেশে নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে এবং কর্মস্থলে গণগ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানকালে বাড়ি-ঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে।’
Leave a Reply