স্পোর্টস ডেস্ক
একটি দল মাত্র এশিয়া কাপ মিশন শুরু করছে, অপর পক্ষের সামনে সমীকরণ— অবশ্যই জিততে হবে। মাত্র চার দিন আগে শুরু হওয়া এবারের এশিয়া কাপ থেকে সবার আগেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় আছে বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তানকে (রোববার) হারাতে পারলে তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টাইগারদের ‘নাগিন ডার্বি’ বেশ রোমাঞ্চকর। তবে রশিদ খানদের সঙ্গে সাকিব আল হাসানদের ম্যাচেও আলাদা ঝাঁজ রয়েছে। তবে বেশি চাপে থাকবে বাংলাদেশ, কারণ তাদের সামনে জয় ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। অন্যদিকে আফগানিস্তান লঙ্কানদের বিপক্ষে আরও একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ রয়েছে। নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া টাইগারদের প্রথম লড়াইয়ে সেভাবে কোনো ব্যাটারই ঝলক দেখাতে পারেননি। যার প্রভাব পড়েছে দলের স্কোরবোর্ডে। মাত্র ১৬৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেটে হেরে যায়। বোলাররা কিছুটা লড়াইয়ের মেজাজ দেখালেও সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
আফগানদের সঙ্গে বাংলাদেশের লড়াই হবে পাকিস্তানের লাহোরে। যা দুই দেশের জন্যই কিছুটা ভিন্ন কন্ডিশন। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে বাংলাদেশ লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল। সেই স্কোয়াডেও ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। অন্যদিকে আফগানিস্তানের জন্য এটি পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
কেমন হবে পিচ এবং কন্ডিশন: আজ লাহোরের আকাশ বেশ পরিস্কার। সারাদিনের তাপমাত্রা গড়ে ২৫-এর কাছাকাছি থাকবে বলে আবহাওয়ার তথ্যে জানা গেছে। এছাড়া বৃষ্টিরও কোনো সম্ভাবনা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বেশ সহায়তা পাচ্ছেন ব্যাটাররা। অর্থাৎ সেখানকার পিচ অনেকটাই ব্যাটিং উপযোগী। গত বছর ওই ভেন্যুতে ওডিআই সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। যার ছয় ইনিংসের তিনটিতেই তিনশ’র বেশি রানের স্কোর ছিল। চলতি বছরের এপ্রিলেও পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজের বেশিরভাগ ম্যাচে দেখা মিলেছিল উচ্চ-স্কোরিংয়ের।
দুই দলের পরিসংখ্যান: সর্বশেষ জুলাইয়ে বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল আফগানিস্তান। যেখানে সফরকারীরা সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। এরপর অবশ্য সর্বশেষ পাঁচ ওয়ানডের মাত্র একটিতে জয় পান রশিদ খানরা, বিপরীতে হার চারটিতে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সর্বশেষ পাঁচ ওয়ানডের দুটিতে জয় এবং তিনটিতে হেরেছে।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ১৪ বার। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টি, আর আফগানিস্তান ৬টিতে জিতেছে। চলমান এশিয়া কাপও ৫০ ওভারের ফরম্যাটটিতে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি দেখায় আফগানরা এগিয়ে থাকলেও, ওয়ানডে দাপট বাংলাদেশের। বাঁচা-মরার লড়াইয়েও নিশ্চয়ই সেই ধারা ধরে রাখতে চাইবেন সাকিব-মুশফিকরা।
এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আগের আসরেও একই গ্রুপে পড়েছিল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। যেখানে রশিদ-মুজিব ও মোহাম্মদ নবীদের কাছে বাংলাদেশ পরাজিত হয়েছিল। এছাড়া লঙ্কানদের কাছেও হারায় প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল টাইগাররা।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম।
আফগানিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ : রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান/রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, গুলবাদিন নায়েব/আব্দুল রহমান, রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান ও ফজলহক ফারুকি।
Leave a Reply