আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘টাকার অভাবে মেয়েকে ৮ মাস স্কুলে পাঠাতে পারিনি’


ক্রীড়া ডেস্ক

সাড়া জাগানো এক ক্রিকেটার হিসেবেই পাকিস্তানের ক্রিকেটে উমর আকমলের আবির্ভাব হয়েছিল। বড় ভাই কামরান আকমলের মতো তিনিও দ্য গ্রিন ম্যানদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন। মিডল-অর্ডারে তাণ্ডব চালিয়ে বহুবারই দলের আস্থা প্রতিদান দিয়েছিলেন। তবে অনেকের মতোই বিতর্কিত ক্যারিয়ার পার করেছেন উমরও। দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গের অপরাধে ২০২০ সালে ৩ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন উমর। এরপরই আর্থিক দুরবস্থার মাঝে পড়তে হয় তাকে। সেই দুঃসময়ের কথা স্মরণ করে অকপটেই তিনি জানালেন, আমার শত্রুরও যেন এমন দিন দেখতে না হয়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্যাটার। তার (উমর) ভাষ্যমতে, আমি যা দেখেছি, তা কারো; এমনকি আমার শত্রুরও দেখা উচিত না। আল্লাহ কাউকে কোনো কিছু দিয়ে বা কেড়ে নিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। যাই হোক, যখন আমি কঠিন সময় পার করছিলাম; তখন অনেকেই নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করে আমার কাছ থেকে দূরে সরে যায়। তবে যারা আমার পাশে ছিলেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

আর্থিক দুরবস্থার কথা স্মরণ করে উমর আরও যোগ করেন, সেই দিনগুলোতে মেয়েকে সামান্য বার্গার কিনে দেওয়ার টাকাও ছিল না। মেয়েকে আমি ৮ মাস স্কুলে পাঠাতে পারিনি। আর আমার স্ত্রী আমাকে সেই কঠিন দিনগুলোতে ছেড়ে যায়নি। আমার স্ত্রী সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো মেয়ে। তবে সে বলেছিল, পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক, সে আমার পাশেই থাকবে। আমি এজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে তার (উমর) বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ পায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এ ঘটনায় তিন বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এরপর অবশ্য আপিলের মাধ্যমে নিজের শাস্তি কমিয়েছিলেন তিনি। এর আগে, সবশেষ ২০১৯ সালে পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তবে এখনও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছেন তিনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর