আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

আজ আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস


চাটগাঁর সংবাদ ডেস্কঃ আজ ৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস। ২০০২ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে। কিছু দেশে বিশ্ব বিড়াল দিবস হিসাবেও পরিচিত এবং এটি শুরু হওয়ার পর থেকে এটির উদ্‌যাপন বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বেশীরভাগ দেশ এই দিনটি পালন করে ৮ই আগস্ট, তবে রাশিয়া ১ মার্চকে জাতীয় বিড়াল দিবস হিসেবে উদযাপন করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস এবং জাতীয় বিড়াল দিবস ২৯ অক্টোবর উদযাপন করে।

গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের মতে, প্রাচীনকালে বিড়ালকে হত্যা করা নিষিদ্ধ ছিল। যখনই কোনো পোষ্য বিড়াল প্রাকৃতিক কারণে মারা যেত, পুরো পরিবার তাদের ভ্রু কামিয়ে বিড়ালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করত।

এদিকে গ্রীকরা বিড়াল মারা যাওয়ার পর মৃত বিড়ালকে পবিত্র শহর বুবাস্টিসে নিয়ে গিয়ে দাফন করতো। গ্রীক ও রোমানরাই প্রথম বিড়ালদের পোষা প্রাণী হিসেবে পালন শুরু করে। গ্রীক গৃহপালিত বিড়ালের প্রাচীনতম সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় ম্যাগনা গ্রেসিয়ার দুটি মুদ্রায়, যা খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে।

অতীতে বিড়ালের গ্রীক শব্দটি ছিল ‘আইলোরোস’। যার অর্থ ছিল লেজ নাড়ানো। তবে প্রাচীন গ্রীক সাহিত্যে বিড়ালের কথা খুব কমই পাওয়া যায়।

তবে ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিড়াল হয়ে ওঠে ধনীদের পোষা প্রাণী। চীনের সম্রাট বিড়াল পোষার পর থেকেই ধনীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিড়াল পোষা। মহাকাশে পাঠানো প্রথম বিড়ালের নাম ফেলিসেটই।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল পালনে কোনো অসুবিধা নেই। প্রাক-ইসলামি যুগ থেকে শুরু করে নবী করিম (সা.)-এর জামানায় অনেকেই বিড়াল পুষতেন। এমনকি সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনাকারী (৫৩৭৫টি হাদিস তিনি বর্ণনা করেছেন) সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-কে বিড়ালের পিতা বলে ডেকেছেন নবী করিম (সা.)। তিনিও বিশ্ববাসীর কাছে আবু হুরায়রা নামে পরিচিত। তার প্রকৃত নাম আবদুর রহমান ইবনে সাখর।

‘আবু হুরায়রা’ (বিড়ালের বাবা) নামটির পেছনে একটি মজার কাহিনী রয়েছে। এক দিন হজরত আবু হুরায়রা (রা.) জামার আস্তিনের নিচে একটি বিড়ালছানা নিয়ে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে উপস্থিত হন। সে সময় বিড়ালটি হঠাৎ করে সবার সামনে বেরিয়ে পড়ল। এ অবস্থা দেখে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে রসিকতা করে, ‘হে বিড়ালের পিতা’ বলে সম্বোধন করলেন। এরপর থেকে তিনি আবু হুরায়রা নামে খ্যাতি লাভ করেন। আর সেদিন থেকে তিনি নিজেকে আবু হুরায়রা নামেই পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন।

উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যায়, ইসলামে বিড়াল পালনে কোনো বাধা নেই। যারা মসজিদের হারাম কিংবা মসজিদে নববিতে যান, তারা সেখানে প্রচুর বিড়াল ছোটাছুটি করতে দেখেন। আগত মুসল্লিরাও তাদের পানি কিংবা খাবার দিয়ে থাকেন।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর