চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক: প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার লড়াইয়ে কিংবা বনাঞ্চল রক্ষায় যাঁরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন তাঁদের প্রতি স্মরণে সম্মানে ও শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর ৩১ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব রেঞ্জার দিবস পালন করা হয়। আজ আন্তর্জাতিক রেঞ্জার দিবস।
২০০৭ সালে কঙ্গোর ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে দায়িত্ব পালনের সময় দুঃখজনকভাবে
আটজন রেঞ্জার প্রাণ হারায়। তাঁদের স্মরণে দিবসটি প্রথম পালিত হয়।
২০২৩ সালে বিশ্ব রেঞ্জার দিবসের থিম হলো ২০২২ সালের জাতিসংঘের জীববৈচিত্র রক্ষার সম্মেলন (কপ১৫) থেকে গতিবেগ তৈরি করা। কপ১৫ সম্মেলনে প্রকৃতি রক্ষায় পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ বরাদ্দ করার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিশেষ করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রেইন ফরেস্ট, জলাভূমি সংরক্ষণের বিষয়ে একমত হয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। এর লক্ষ্য ছিলো ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর অন্তত ৩০ শতাংশ এলাকা কার্যকরভাবে সংরক্ষণ করা।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রেঞ্জার ফেডারেশন (আইআরএফ), সর্বপ্রথম রেঞ্জার দিবসটি পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। বৈশ্বিক প্রকৃতি রক্ষা তহবিল (ডাব্লিউডাব্লিউএফ) থেকে ক্ষতিগ্রস্থ রেঞ্জার ও তাঁদের স্বজনদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।এই তহবিল ‘থিন গ্রীন লাইন ফাউন্ডেশন’ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর ফলে রেঞ্জারদের মৃত্যুর পর তাঁদের পরিবার বীমার আওতায় আর্থিক সুরক্ষা পেয়ে থাকে।
আইআরএফ প্রতিষ্ঠার সময় স্কটিশ কান্ট্রিসাইড রেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসসিআরএ), ইউএস অ্যাসোসিয়েশন অফ ন্যাশনাল পার্ক রেঞ্জার্স এবং কান্ট্রিসাইড ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিএমএ) ওয়েলস এবং ইংল্যান্ডের রেঞ্জারদের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাসোসিয়েশনগুলো একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
Leave a Reply