কর্ণফুলী প্রতিনিধি: সংস্কৃতি হলো মানুষের জ্ঞান, আচার-আচরণ, বিশ্বাস, রাীতিনীতি, নীতিবোধ, চিরাচরিত প্রথা, সমষ্টিগত মনোভাব এবং অর্জিত সংস্কৃতি কীর্তিসূমহ। দেশের জাতীয় সংস্কৃতির ধারা প্রধানত দুটি: নগরসংস্কৃতি ও লোকসংস্কৃতি। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতির ধারা তিনটি: নগরসংস্কৃতি, গ্রামসংস্কৃতি ও উপজাতীয় সংস্কৃতি, বাংলাদেশ একটি গ্রাম প্রধান দেশ।
আর আমাদের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী নিজস্ব জীবনপ্রণালীর মাধ্যমে শতকের পর শতক ধরে যে বহুমুখী ও বিচিত্রধর্মী সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, তাই বাংলার লোকসংস্কৃতি নামে অভিহিত। বাংলার লোকসাহিত্য, লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য লোকনাট্য ইত্যাদির সঙ্গে বাঙালী মানসকে যথার্থভাবে প্রতিফলিত করে। অর্থাৎ গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের মানুষের মনেপ্রাণে এখনও বিভিন্ন ধরনের লোকসঙ্গীত জায়গা করে আছে। কিন্তু আকাশ সংস্কৃতি ও স্মার্টফোনের এ যুগে আমাদের নিজস্ব এসব সংস্কৃতি কতদিন টিকে থাকবে তা ভাবার বিষয়। জাতীয় স্বার্থেই আমাদের নিজস্ব এসব সংস্কৃতি আমাদের রক্ষা করা উচিত।
প্রযুক্তির ব্যবহার গ্রাম ও শহরের ব্যবধান কমিয়ে দিয়েছে। বদলে দিয়েছে গ্রামীণ মানুষের বিনোদনের ধরনও। কিন্তু আমাদের জাতীয় স্বার্থেই এই বিলুপ্তপ্রায় লোকসঙ্গীত নিজস্ব গ্রাম্যসংস্কৃতি, মঞ্চ নাটক,বা লোকগানগুলো টিকিয়ে রাখা দরকার।
বিগত সময় চট্টগ্রাম জেলা বিভিন্ন অঞ্চলে জাতীয় ও বিশেষ দিবসে অনুষ্ঠান মালায় বিশেষ প্রাধান্যই ছিল নিজস্ব লোকসংস্কৃতি জারি, সারি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, বাউল, মঞ্চ নাটক,প্রভৃতি ধারার শত শত গান আজও প্রচলিত আছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আবার অনেক ধরনের লোকসাহিত্য আজ একেবারে হারিয়ে গেছে আমাদের সমাজ থেকে।
যাত্রার মতো মঞ্চ নাটক আরেকটি বিনোদনভিত্তিক লোকসংস্কৃতি। এটি পুরোপুরি বিলুপ্তি না হলেও এখন খুব একটা দেখা যায় না, নাটক ব্যঙ্গ রসাত্মক। তাই প্রচুর হাস্য কৌতুকের আয়োজন থাকে। ঐতিহ্যবাহী এ,জে চৌধুরী স্কুল ও কলেজের মাঠে মঞ্চ নাটক মঞ্চায়ন করার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থা ছিল কিন্তু বর্তমানে তাহা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। প্রায় বলতেই গেলে বিলুপ্ত পথে মঞ্চ নাটক।
সংস্কৃতিকর্মী “সুকন্যা”সিইও মুহাম্মদ ওসমান হোসাইন বলেন বিগত সময় প্রতিযোগিতা হতো কর্ণফুলী উপজেলায় কে কখন মঞ্চায়ন করবে মঞ্চ নাটক। আমি নিজেও মঞ্চ নাটকের সঙ্গে আমি নিজেও সম্পৃক্ত ছিলাম। তখন উল্লেখযোগ্য লোকসংস্কৃতি মঞ্চ নাটক আয়োজন করতেন চরপারঘাটা মুক্ত বিহঙ্গ, দুর্রান্ত দূর্বার , নিলগীরি,শিকলবাহা আর্দশ ক্রীড়া চক্র আয়োজন ছিল।
সেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো এই গ্রাম্যসংস্কৃতি মঞ্চায়ন করার জন্য আগেই থেকে রাতে রিহার্সালে আয়োজন ছিল ছাত্র/যুব সমাজ সম্পৃক্ত হয়ে সংস্কৃতি কে রক্ষা মুল্যবোধ চেতনা ঐক্যবদ্ধ শক্তি হয়ে কাজ করেছে। আবারও যদি ছাত্র যুবক সুশীল সমাজ লোকসাংস্কৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসে আবারও প্রাণ ফিরে পাবে নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।
Leave a Reply