আজ ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিইপিজেডে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রির অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম রপ্তানি পক্রিয়াজাত এলাকা (সিইপিজেড)’র এ এন্ড বি কোম্পানি থেকে কন্ডা আর্ট ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড, কোল্ড প্লে স্কুল প্রোডাক্ট লিমিটেড থেকে কে এস রয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও নরম আউট ফিট লিমিটেড থেকে এইচ কেডি গ্রুপ বেপজা কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২০২১ থেকে ২০২৩ সালের সর্বশেষ ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৪০০ কোটি টাকার মূল্যের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে খবর পেয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে কমিশনার অব কাস্টমস, বেপজা কর্তৃপক্ষ ও ইপিজেড থানায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারণে বার বার তারা পার পেয়ে যাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ এই তিন কারখানার পূর্বের মালিক নাজমুল আবেদিনের পক্ষে এডভোকেট রোকসানা আকতারের।

জানাগেছে সিইপিজেডে বেপজার আওয়াতাধীন এ এন্ড বি আউটওয়্যার লিমিটেড, কোল্ড প্লে স্কুল পোডাষ্টস লিমিটেড,নরম আউটফিট এন্ড এক্সেসরীজ লিমিটেড কোম্পানির পূর্বের মালিক চট্টগ্রাম ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে অবৈধ উচ্ছেদ ও দখল পুনরুদ্ধার এবং ক্ষতিপূরন চেয়ে ( মামলা নম্বর ৫/২২ এবং মিছ মামলা নম্বর ২/২৩) করেন। মামলা করার পর আদালত বেপজার বিরুদ্ধে সকল কার্যক্রমের নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেও কৌশলে বর্তমানে তিন কারখানার মালিক নিজেদের মতো করে বেপজার সহযোগিতায় ইপিজেডে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও খোলা বাজারে পণ্য বিক্রিসহ আরও অভিযোগ রয়েছে।

মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে কোল্ড প্লে মালিক মো.আব্দুল কাদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, মালামাল সরিয়ে নেয়ার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার প্রতিষ্ঠান রয়াল ফ্রেবীক্স প্রিন্টার্স। আমার কোম্পানির কাজ প্রিন্টিং এবং এমব্রডারী। স্কুল পোডাষ্টস নিয়ে কাজ নেই। আপনাকে কেউ ভুল তথ্য দিয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পক্ষে এডভোকেট রোকসানা আকতার বলেন, যুগ্ম জেলা জজ,তৃতীয় আদালত চট্টগ্রামে মানি মামলা নং ৫/২২ এবং মিছ মামলা নং ২/২৩ মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আইনকে বৃদ্দা আঙুল দেখিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে কন্ডা আর্ট মেটেরিয়ালস লিমিটেড, নরম ও কোল্ড প্লে এই তিন কোম্পানির বর্তমান মালিক এবং বেপজা কতৃপক্ষের যোগসাজশে ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমার মক্কেলের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মূল্যের মালামাল ধাপে ধাপে সরিয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঋণ ও সুদ মিলিয়ে চারটি ব্যাংক থেকে আমার মক্কেলের ঋণ রয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এর ঋণের বিপরীতে, বিল্ডিং, প্ল্যান্ট ও মেশিনারি, আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, কমপ্লায়েন্স সরঞ্জাম, যানবাহন, কাঁচামাল এবং সমাপ্ত পণ্যের আকারে কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ হবে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি। বেপজার কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কৌশলে এই ৬০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি নিলামে তুলেছে মাত্র ২৯ কোটি টাকায়। নাজমুল আবেদিন বাংলাদেশি বংশধর কিন্তু কারখানা পরিচালনা শুরু থেকে নাজমুল আবেদিন ব্রিটিশ লন্ডনের নাগরিক।

বেপজার জিএম জানান, আমি যোগদান করেছি কিছু দিন হলো। তিন কারখানার পূর্বের মালিক নাজমুল আবেদিন ওয়ান ব্যাংক থেকে ৩১৬ কোটি টাকা লোন নিয়ে বর্তমানে লন্ডনে পলাতক রয়েছেন। তার তিনটি কোম্পানি অকশনের মাধ্যমে কাস্টমসকে ভ্যাট টেক্স দিয়ে নতুন করে অন্য মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ এন্ড বি কোম্পানি ১৮ কোটি টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। মালামাল সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। ভুক্তভোগীর পরিবারের কোনো অভিযোগ থাকলে আমার সঙ্গে কথা বলুক,দেখা করুক।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর