ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পেশাদার ব্যবসায়ীদের কল্যাণমুলক সংগঠন’তুমরু বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি:”র (নিবন্ধন নং-২০২৫০১,২০,০৩৭৩,০০৯৩) কার্যকরী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।৩১ জানুয়ারীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কার্য পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ। পুরো সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান সওদাগর।
সভায় সংগঠন ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে মাসিক ফি: নির্ধারণ, বাজারে পাহারাদার নিয়োগ, বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নিমিত্তে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ,নিয়মিত বাজার পরিচালনায় দায়িত্বভার দেওয়া সহ বিবিধ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সলস সংগঠনের সহসভাপতি আবদুল করিম,স্থানীয় মুরব্বি মোহাম্মদ হোছাইন মিজ্জি,আবদুল কাদের, ওবাইদুল হক,সংগঠনের অর্থ সম্পাদক শাহ জালাল,ইউসুফ আলী,শফিউল আলম,আজিজুল বশর,জয়নাল আবেদিন, ইমাম হোসেন,ধনঞ্জয় ধর,মো:রফিক,মহিউদ্দিন চৌধুরী,মহিউদ্দিন, মো:হাসান,মোহাম্মদ হোছন,শামীম,রতন ধর,মিন্টু কুমার ধর,নিরানন্দ শীল,মুফিজ উদ্দিন,আবুল কালাম,মো: হাসান (মাছ বেপারী), নুরুল বশর,নুরুল হক,আবুল কাসেম,গ্রাম ডাক্তার মো:হোছন,গ্রাম ডাক্তার ছৈয়দ হোসেন,বদিউল আলম(হোটেল), মনির সওদাগর, নুরুজ্জামান,নুরুল ইসলাম(কাচা সবজি ব্যবসায়ী ), মো: রাসেল(কাচা সবজি ব্যবসায়ী ),ইউসুফ আলী ভুলু,সরওয়ার কামাল(চা দোকান),সরওয়ার কামাল(মুদির দোকান),জকির আহমদ(রাইচ মিল),আবদুল হাকিম,নুরুল কবির(চা দোকান),শাহাব উদ্দিন(পানের দোকান),সাঈদী আলম,মেলাচিং তংচঙ্গা,মো:রফিক,আমির হামজা(গাছ ব্যবসায়ী) প্রমুখ সহ অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ী।
সভায় বক্তারা বলেছেন,”তুমব্রু বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি:একটি পেশাদার ব্যবসায়ীদের সংগঠন।যেটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত। সরকারের সমবায় অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুসরণ করে এটি পরিচালিত হচ্ছে।ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসা পরিচালনায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে।সংগঠনের অভ্যন্তরে কোন প্রকার অনিয়মও করবোনা,করলেও সহ্য করা হবেনা।ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বাজার পরিচালনায় দক্ষ কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করা হয়েছে।তুমব্রু সীমান্ত এলাকা।সীমান্তের চোরাচালান প্রতিরোধেও এটি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা’কে সহযোগিতার মাধ্যমে ভুমিকা রাখবে। বক্তারা আরো বলেছেন, সম্প্রতি সময় তুমব্রু বাজার পরিচালনা কমিটি পরিচয়ে একটি চক্র ব্যবসায়ী এবং প্রশাসনের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।তারা বাজার পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল পরিচয়ে বাজারের কিছু দোকানীদের চাহিদাপত্রের টোকেন প্রথা চালু করেছে।তাতে টোকেন প্রতি নিদিষ্ট হারে টাকা আদায় করে চলছে।এ ক্ষেত্রে বহু পেশাদার চোরাকারবারিদের হাতেও মালামাল আনার জন্য চাহিদাপত্র দিচ্ছে।যা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মাঝেও বিভ্রান্তকর তথ্য উপস্থাপন করছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তাই সীমান্তের চোরাচালান রোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।এ ক্ষেত্রে তুমব্রু বাজার পরিচালনায় যে কমিটি পরিচয় দিচ্ছে,তা সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধন রয়েছে কিনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সীমান্তে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
Leave a Reply