উন্নত বিশ্বের সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে দেশের ৩৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সংস্কার নয় রূপান্তর প্রয়োজন। আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সাল থেকে। তবে এ লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে। পাইলটিং কর্মসূচীর আওতায় চট্টগ্রামের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সেগুলো হলো-রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার শহীদ শামছুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কাউখালী উপজেলার হারাঙ্গীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।
দীপু মনি বলেন, জনগণের সরকারকে ভাবতে হয় আগামী প্রজন্মের ভালো কীভাবে হবে। তাদের জন্য ভালো দেশ উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছে এই সরকার। এজন্য বর্তমানে ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাব্যবস্থা রূপান্তরের পাইলট প্রকল্প চলছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিজ্ঞান মনস্ক ও প্রযুক্তিতে দক্ষ শিক্ষার্থী তৈরিতে মনোযোগী হয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীরা যেন কেবল প্রযুক্তিতে দক্ষ নয় বরং উদ্ভাবনেও দক্ষ হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলছি।
এ সময় শিশু সাংবাদিক কারিমা ফেরদৌসী কেকা বলেন, বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপরে ভর করে চলছে। বিশ্ব এখন তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে চলছে, আর সামনে আসছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যেন পিছিয়ে বাংলাদেশ না যায়, সেজন্য প্রয়োজন নতুন শিক্ষাপদ্ধতি।
সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথেম্যাটিকস - এই চারটি বিষয়ের আদ্যক্ষর মিলিয়ে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে স্টেম এডুকেশন- বলে মন্তব্য করেন এ শিশু সাংবাদিক।
অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাজা আব্দুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।