বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৩৪ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্টগার্ড। শীত মৌসুমের শুরুতে কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া দিয়ে উদ্ধার হওয়া মানুষেরা মালয়েশিয়া যাচ্ছিলো। এ সময় বঙ্গোপসাগরে তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় তিন নারীসহ মোট ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশী, বাকিরা টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মহেশখালীর দুজন, টেকনাফ সাবরাংয়ের একজন এবং ঈদগাঁও উপজেলার একজন রয়েছেন। বাকিরা উখিয়ার বালুখালী, কুতুপালং, হাকিম পাড়াসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের হলবনিয়া ও কাদেরপাড়ার মাঝামাঝি সমুদ্রের চর থেকে ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ট্রলারটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন সে বিষয়ে জানা যায়নি।
তিনি আরো জানান, সোমবার দিবাগত রাতে বাহারছড়ার কচ্ছপিয়া নামক স্থান থেকে ট্রলারটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পরে ট্রলারটি সাগরে ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীরা সাঁতরে হলবনিয়া ও কাদেরপাড়ার চরে গিয়ে ওঠেন। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। কয়েক জন বাংলাদেশের নাগরিক আছেন। এখন তাদের নাম পরিচয় নেয়া হচ্ছে।