বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হলো চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর) এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের স্কলাররা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে অবশ্যই শিক্ষার বিস্তার জরুরি। আর এ শিক্ষা বিস্তারে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে। শুধু শিক্ষা অর্জন করলে হবে না। তা হতে হবে বিশ্বমানের। কারণ শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে হবে সর্বত্র।
আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, আইআইইউসি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সামনে এগিয়ে এসেছে। আমাদের শিক্ষকদের গবেষণাপত্র বিখ্যাত জার্নালগুলোতে স্থান পাচ্ছে। চট্টগ্রামে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল দীর্ঘ দিনের। সরকারি অনুমোদন নিয়ে ১৯৯৫ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে মাত্র ৩টি বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এটি এখন দেশের প্রথম সারির অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। এটি দেশ-বিদেশের ছাত্র, শিক্ষক, পণ্ডিত, বুদ্ধিজীবীসহ সকল মহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জেনারেল অ্যাসেম্বলির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আব্দুল আজিজ আল-মুসলিহ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা লগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ২৫ বছর শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে অনেকে অবদান রেখেছেন। যাদের প্রচেষ্টা না থাকলে এত বড় মাইলফলক ছোঁয়া যেত না।
এসময় আরও বক্তব্য দেন আলজেরিয়ার ডেপুটি স্পিকার এইচ ই ইউসেফ আদ্দিজা, মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী এইচ ই ড. আব্দুল্লাহ রাশেদ আহমেদ, ডিপ্লোমেটিক অ্যাকাডেমি অফ কসোবোর ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক ড. বাকের ইসমাইলি, সোমালিয়ার শিক্ষা উপমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আব্দি ফাতেহ ইসক মোহাম্মদ, মিশরের তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.সামি মোহাম্মদ রাই ইল শারিফ, মিশরের রিপ্রেজেনটেটিভ অফ মিনিস্ট্রি অফ ইসলামিক আফেয়ার্স অ্যান্ড আউকাফ নূরুদ্দীন মোহাম্মদ আব্দুল ওয়ারিস, কুয়েতের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর জেনারেল বদরু সৌউদ আল সামিত, ওআইসির ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর যাহ, ক্যাব্রিজের কলেজ ফর ইসলামিক স্ট্যাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. আকরাম নদভী, সৌদি আরবের ইসলামিক আফেয়ার্স বিভাগের সাবেক ডেপুটি মিনিস্টার ড. আহমেদ আব্দুল্লাহ সুরুর আল সাব্বান,কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সৌউদ মাসতুর আব্দুল হাদী আস সোলাইমি, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান আল আহমদী, অধ্যাপক ড. মোয়াফ্ফাক আব্দুল্লাহ আলী, নেপালের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রিজুয়ন আনসারী, সৌদি আরবের ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলী অফ মুসলিম ইয়ুথের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ আল ফালেহ, জাপানের ইসলামিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার মাজেন সালিম, ফিলিস্তিনের আল কুদুস বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হামজা জিপ মোস্তফা আবু সাবিহা, ভারতের ঝাড়খণ্ডের জামেয়া উম্মে সালমার রেক্টর ড. আফতাব আলম নদভী, আইডিবির রিজিওনাল অফিসের অপারেশন টিম লিডার নাসির মোহাম্মদ ইয়াকুব, সৌদি আরবের রাইআহ আল হুদা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ বিন সালেম প্রমুখ।
তথ্যসূত্র : বাংলানিউজ২৪