সরওয়ার কামাল, মহেশখালীঃ ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে উপজেলার উপকূল এলাকাগুলোতে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এখানে নিরাপদ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, রেমালের প্রভাবে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলোতে নিরাপদ পানির তীব্র সংকটের পাশাপাশি স্যানিটেশন ব্যবস্থাতেও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পানিবন্দি মানুষেরা।
ইতোমধ্যে মহেশখালী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষের নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) থেকে পানিবন্দি এলাকাগুলোতে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চল
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বলছে, ইতোমধ্যে ৫০ হাজার ট্যাবলেট ১’শ পিচ জেরিক্যান (পানিবহনের পাত্র) ও ৫০০ বক্স হাইজিন কীট সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মারমার মাধ্যমে সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এসব সামগ্রী সরবরাহ করেছেন।
মহেশখালী উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুদর্শন কান্তি দে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মহেশখালীর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জন্য জরুরী ব্যবস্থায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্থ নলকূপ ও টয়লেট দ্রুত সংস্কার এবং মেরামত করতে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করছে।’