চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক
অতি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও বন্যায় সাতকানিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৮৬ কোটি দেড় লক্ষ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস। বন্যায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলার পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়নে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং আমাদের প্রতিনিধি ও ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং চট্টগ্রাম-১৪ ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাংসদ এই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যায় কৃষিতে ২১৬২ হেক্টর ফসলি মাঠ নষ্ট হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৩২ কোটি সাড়ে ২৯ লক্ষ টাকা। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার তথ্যমতে, বন্যায় ৮ হাজার লেয়ার মুরগি, ৩০ হাজার বয়লার মুরগি এবং ১৬৫টি গবাদি পশু মারা যায়। যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। গভীর এবং অগভীর নলকূপ ৬ হাজার নষ্ট হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৪৯ কোটি টাকা, মৎস্য খাতে ৩ হাজার পুকুর ডুবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ৪ কোটি টাকা, ৪১ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙে ক্ষতি হয়েছে ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২.৫ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের ৫০ কোটি এবং রাস্তা ও অবকাঠামোর ক্ষতি ২৮ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকাসহ মোট ১৮৬ কোটি দেড় লক্ষ টাকা এবং ৫৭৫টি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। উপজেলায় বন্যার দূষিত পানি পান করে ১১ জন ডায়ারিয়া আক্রান্ত হয়। পরে চিকিৎসা করে ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু রোগে দু'জন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকা ডুবিসহ বন্যার স্রোতে ভেসে গিয়ে ১০ জন মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবারের তথ্য নিশ্চিত করেছি এবং তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, সাতকানিয়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষি ফসল, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সাতকানিয়া পৌর এলাকার প্রায় ১৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।