মো. শোয়াইব, হাটহাজারীঃ উপজেলায় ৪৮টি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ১৭৯ পদে শিক্ষক নেই। প্রায় প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২ থেকে ১ জন করে শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। এতে বাড়তি দায়িত্বপালন করতে গিয়ে শিক্ষকরা যেমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তেমনি শিক্ষার্থীরাও শিক্ষাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে বর্তমানে এ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে দুইজন প্রধান শিক্ষক, ছয়জন সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং ১৭১ জন সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
আরও পড়ুন হাটহাজারীতে ‘করাতকল’ আইন অমান্য, তথ্য দিতে গড়িমসি বন কর্মকর্তাদের
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষক সংকটের কারনে কিছুক্ষণের জন্য কোনো ক্লাসে কোনো শিক্ষকের প্রবেশ করতে দেরি হলে হৈচৈ শুরু হয়, এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশেও বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া শিক্ষক না থাকলেও রুটিন অনুযায়ী ক্লাসগুলো দায়িত্বরত শিক্ষকদের ভাগ করে দেওয়া হয়। এ কারনে ছুটি পেতেও নানা ধরনের ভোগান্তি হয় শিক্ষকদের।
এসব কারনে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হয় বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক ।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাইনুদ্দিন মজুমদার চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘এনটিআরসিএ থেকে শূণ্য পদের তালিকা চেয়ে আমি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করেছি। প্রধান শিক্ষক ২ জন, সহকারী প্রধান শিক্ষক ৬ জন এবং সহকারী শিক্ষক ১৭১ জনসহ মোট ১৭৯টি পদ বর্তমানে শূণ্য রয়েছে।’