সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সাহসিকতা ও চৌকসতার পরিচয় দেয়ায় ১১৭ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পদক প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজারবাগে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসময় তিনি বলেন, ‘পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তাকে স্বাগত জানান। এসময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ সবসময় মানুষের পাশে আছে, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও পুলিশ মানুষের পাশে থাকে। পাশাপাশি মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ সেখানেও পুলিশ ভূমিকা রাখে। মানুষের জানমাল বাঁচানোর জন্য নিচের জীবনকেও উৎসর্গ করে পুলিশ, তারা যেকোনো ঝুঁকি নিতে পিছপা হয় না। এটাই হচ্ছে পুলিশের সবচেয়ে বড় কাজ এবং সেটা তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন। তাই পুলিশ বাহিনীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
জনবান্ধব ও চৌকস পুলিশ বাহিনী গড়ার পদক্ষেপ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, সরকার পুলিশের আধুনিকায়নের পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। এই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা কার্যকর করেই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ; যে বাংলাদেশ হবে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, পুলিশ আছে জনতার পাশে’। আজ থেকে শুরু হওয়া পুলিশ সপ্তাহের নানা কর্মসূচি চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশের বিভিন্ন দল বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
তথ্যসূত্র: বাসস
Leave a Reply