বিশেষ প্রতিনিধিঃ চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকা থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দিলে চোরের দলের ছোঁড়া গুলিতে নাছির উদ্দীন (৩৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চোরের দল পৌরসভার দক্ষিণ জোয়ারা কৃষক মাহমুদুর রহমান মুন্নার গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ৪টি গাভী যার আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, একই এলাকার মো. ফরিদের ১ লক্ষ ৫০ টাকা মূল্যের বিদেশী গাভী চুরি করে পিকআপে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় গরু চোর, গরু চোর চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে।
চোরের দল পিকআপ ভর্তি গরু নিয়ে যাওয়ার সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে তাদের ছোঁড়া গুলিতে ঐ এলাকার জমির আহমদের ছেলে নাছির উদ্দীন গুলিবিদ্ধ হয়।
তাকে প্রথমে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
তার পায়ে, হাটঁতে, বুকেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছোঁড়াগুলি লেগে আহত হয়ে সে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে গরুর মালিক মাহামুদুর রহমান মুন্না বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে হাশিমপুর শায়ের মোহাম্মদ পাড়া এলাকার আমিন মিস্ত্রির ১টি বাচুর, ২টি গাভী যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা।
নুরুল আমিনের ১টি ষাঁড় ১ লক্ষ টাকা, মো. মুছা ১টি ষাঁড় ৭০, খালেকুজ্জামানের ১টি ষাঁড় ১ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।
এসময় স্থানীয়রা গরু চোরদের তাড়া করলে, চোরের দল সাধারণ মানুষের দিকে টর্চলাইটের আলো দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে ৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে হাছনদন্ডী এলাকার প্রবাসী মোজাফ্ফর আহমদের ১টি ষাঁড় ১ লক্ষ টাকা, বাঁচা মিয়ার ২টি গাভী ও ১টি ষাঁড় যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা চোরের দল চুরি করে নিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা গরু চোরদের তাড়া করলে চোরের দল তাদের ব্যবহৃত একটি বন্দুক ফেলে যায়।
স্থানীয়রা পরদিন কোরবান আলীর গোয়াল ঘরের পাশ থেকে বন্দুকটি উদ্ধার করে পুলিশের নিকট দেয় বলে জানান।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন গরু চুরির বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার গরু চুরির সংবাদ পেয়ে পুলিশ রাতেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।
তাছাড়া গত সপ্তাহের চকরিয়া এলাকার ১ গরু চোরকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সে অনেক তথ্য দিয়েছে।
বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রকৃত গরু চোরদের সনাক্ত করে আইনের আত্ততায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।