নাগরিকদের বিক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি করে গত ৭ ডিসেম্বর কঠোর কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেয় চীন। কিন্তু তা হিতে বিপরীত হয়েছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। নতুন একটি গবেষণা বলছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে ফের কড়া পদক্ষেপ না নিলে ২০২৩ সালে চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের (আইএইচএম) এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। হঠাৎ করে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় চীনের ওপর এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি স্বাস্থ্য সংস্থা।
আইএইচএমের ধারণা, আগামী বছরের এপ্রিলের ১ তারিখ নাগাদ চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। একই সময়ে কোভিডে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আইএইচএমের পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে জানিয়েছেন, এই সময়ে চীনের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে। আর আগামী বছরে মোট ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
আইএইচএমের গবেষণা ছাড়াও অন্যান্য গবেষণাও প্রায় একই ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের গবেষণা বলছে, চীনে গণভ্যাকসিন কার্যক্রম না চালানো হলে নতুন বছরে অন্তত ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪০০ জন মানুষ মারা যেতে পারে।
কেবল তাই নয়, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ন্যাচার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে সাংহাইয়ের ফুদান ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথ জানিয়েছিল, চীনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে গেলে পরবর্তী ছয় মাসে কেবল ওমিক্রনের সংক্রমণেই সাড়ে ১৫ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার পর থেকেই এই বিষয়ক স্বাস্থ্যতথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর।
তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা