বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে রাজধানীর নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তি মারা যান। নিহতের নাম মকবুল হোসেন (৩৫)। গুলি বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু বিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাকে নেয়া হয়। আজ বিকালে আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে মোট নয়জনকে নেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে মকবুল হোসেন মারা গেছেন। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নয়াপল্টন থেকে আনা হয়েছিল মকবুল হোসেনকে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তার শরীরে গুলি বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু বিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।’
এর আগে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বেলা ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোয়াট সদস্যদেরও দেখা যায় সেখানে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ডাকা সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে বিএনপিকর্মীরা আজ সকাল থেকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করে। স্লোগান দিতে দিতে তারা সামনের দিকে এগোতে শুরু করলে পুলিশও সতর্ক অবস্থান নেন।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. হায়াতুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘১০ তারিখে বিএনপির সমাবেশের স্থান এখনো নির্ধারণ হয়নি। কিন্তু আজ নয়াপল্টন পার্টি অফিসের সামনে উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বারবার অনুরোধ করার পরও রাস্তা ছেড়ে দেয়নি। পরে তাদেরকে উঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এভাবেই সংঘর্ষের ঘটনা। পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।’
তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা