মোঃ শোয়াইব,হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড কালা বাদশাহ পাড়ায় মহিউদ্দিন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার রাতে ওই পাড়ার হাজি আমিনুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতের মা বাদি হয়ে থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান পরিবার। আহত ওই বাড়ির আবুল হোসেনের পুত্র।
সরেজমিনে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আহতের পরিবারের সাথে একই বাড়ির মরহুম আব্দুল হাফেজের পরিবারের সাথে জায়গা নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটিসহ ছোটখাট বিবাদ লেগেই ছিল। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গেলে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ বাচা, মানিকসহ অজ্ঞাত কয়েকজন ধারাল কিরিচসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এতে তার মাথা, মাড়ি, হাত ও পা মারাত্মক জখম হয়। চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারী পালিয়ে যায়। প্রথমে অস্বীকার করলেও মাথা গরম এবং আগে আহত ও তার পরিবারের লোকজনের হামলার শিকার হওয়ায় মেরেছে বলে জানান অভিযুক্তদের মা নুর নাহার বেগম। আরেক অভিযুক্ত ও সাদ্দামের স্ত্রী বিলকিস খাতুন হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় তিনি ঘরে অবস্থান করছিলের এবং তার স্বামী বাচ্চার ওষু্ধ আনতে হাটহাজারী ছিলেন। আহতের পরিবার ঘটনার পর দিন তাদের ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এদিকে ভুক্তভোগীর পিতা জানান, গুরুতর আহত সন্তানকে নিয়ে যখন পরিবারের সব পুরুষরা চমেক হাসপাতালে তখন হামলাকারীরা আবারো তাদের ঘরে হামলা করে জিনিসপত্র ভাংচুর করে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম জানান, ঘটনার পর দিন মহিউদ্দিনকে হামলার ঘটনা স্বীকার করে হামলাকারীরা।
এদিকে এ ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানার এসআই জসিম। তিনি বলেন, ‘অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামানের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করছেন তিনি।’