আনোয়ার হোছাইন, নাইক্ষ্যংছড়ি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে অপহৃত মুফিজুর রহমান (৩৫) অবশেষে ২০ দিন পর আরাকান আর্মির বন্দিদশা থেকে পায়ে হেঁটে দেশে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে তিনি ৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
মুফিজুর রহমান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ১০ এপ্রিল সীমান্ত এলাকায় নিজের বাগানে কাট কাটতে গেলে তাকে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ধরে নিয়ে যায়।
ফেরার পর মুফিজুর জানান, তারা প্রথমে আমাকে গোয়েন্দা ভেবে ধরে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় এক পাহাড়ি ঘাঁটিতে। পরে বুঝতে পারে আমি সাধারণ লোক, তখন সুযোগ পেয়ে পালিয়ে আসি। পাহাড়, জঙ্গল পেরিয়ে কোনোভাবে দেশে ফিরেছি।
মুফিজুর বলেন, “বাঁচার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওই ২০ দিন ছিল এক দুঃস্বপ্ন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মুহাম্মদ মাহবুব এলাহি বলেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজকে মুফিজুর রহমান দেশে ফিরে এসেছে—এমন খবর আমরা পেয়েছি। তবে কীভাবে তিনি ফিরেছেন, সে বিষয়ে এখনো নির্ভরযোগ্য তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল।
ইউএনও আরোও বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্কতা বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এসব ঘটনায় তারা আতঙ্কিত। তারা চায়, যেন সীমান্ত পাহারা আরও কড়াকড়ি করা হয় এবং স্থানীয়দের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
Leave a Reply