শ.ম.গফুর >>> দ্ধিতীয়বারের মত বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের।৪ দিনের সফর হবে এবার।আসবেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার এবং কথা বলবেন।রোহিঙ্গারাও আশায় বুক বেধেছেন,এবার নিজের দেশে ফেরা নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হবে।তেমনি উখিয়া-টেকনাফের ৩৩ আশ্রয় শিবির এবং নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দ্ধীপাঞ্চল ভাসানচরে আশ্রিত প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা নিজভুমে ফেরার অপেক্ষার প্রায় ৮ বছর কাটাচ্ছেন এপারে।চলতি মাসের ১৩ মার্চ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসরোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন। এদিন তাঁর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় জড়িত একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এমন আভাস দিয়েছেন।প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও আগামী ১২ মার্চ কিংবা ১৩ মার্চ তাঁর আসার কথা রয়েছে।আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ সফরের প্রাথমিক সফরসূচিতে আগামী ১৩ মার্চ কক্সবাজার সফরের দিন রাখা হয়েছে। তবে সুত্র মতে, জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের কর্মসূচি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।প্রাথমিক সফরসূচিতে ১৩ মার্চ দিনব্যাপী কক্সবাজার সফরকালে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এর সাথে পররাষ্ট্র, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ-বাংলাদেশ মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজারে সফরকালে রোহিঙ্গাদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে কর্মরত জাতিসংঘের সংস্থা সমুহের প্রধান, স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের প্রাক প্রস্তুতি হিসাবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি গত কয়েকদিন আগে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।পর্তুগালের নাগরিক আন্তোনিও গুতেরেস ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।এর আগে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি। সে সময়ও তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন। দ্বিতীয় বারের মতো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।এদিকে বাংলাদেশ সফরকালে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে আশায় বুক বেধে আছেন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা।উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৭ এর রোহিঙ্গা নেতা মহিদুল্লাহ,নুরুল আলম,সাদেক মাঝি,ক্যাম্প-৮ ইস্ট'র রফিক মাঝি,ক্যাম্প-৯'র শব্বির মাঝি,রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা,হারুন,দিল মোহাম্মদ, মাষ্টার জোবাইরদের একবাক্য তারা নিজেদের ভুমিতে ফিরতে চান।কবে নাগাদ ফিরে যেতে পারবেন তার জন্য আশায় বুক বেধে আছেন।জাতিসংঘ মহাসচিবের এবারকার সফর যেনো ফলপ্রসু হয়।তাহার সামনে দাবী তুলবেন দ্রুত ফিরে যেতে।অতীত ব্যর্থতা ভুলে জাতিসংঘের মহাসচিব এবার মিয়ানমারে তাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক মহলকেও চাপ সৃষ্টি করবেন বলে স্বপ্ন দেখছেন টেকনাফ এবং উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গারা।২০১৭ সালের পর থেকে মিয়ানমারে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বেসরকারিভাবে তা ১৩ লাখের কাছাকাছি। সর্বশেষ গত কয়েকমাসের আরও ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে এবং নোয়াখালীর দ্ধীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে রয়েছেন।