মোঃ শোয়াইব,হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ হাটহাজারী উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলে নিধন হচ্ছে বনাঞ্চল। শুকনো মৌসুম আসলেই বন খেকোদের কবলে পড়ে টিলা ভূমির সেগুন চারা গাছের বৃক্ষ নিধন কর ফেলছে দখলি ব্যক্তি সাব্বির।তবে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতিও নেইনি। নিরবে সেগুন কাঠের চারা গাছ গুলো কেটে সাবাড় করছে জনৈক ব্যক্তি। কিছুদিন আগেও ওই টিলা থেকে রাতে সেগুন কাঠ পাচারের সময় মেডিকেল গেইট এলাকা থেকে গাড়ী সহ কাঠ উপজেলা প্রশাসন জব্দ করে। ১০হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে গাড়ী ছেড়ে নিলেও কাঠ বন বিভাগকে হস্তান্তর করে প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও টিলা ভূমির সেগুন কাঠের চারা গাছ কাটা বন্দ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গভীর রাত হলেই জিপ গাড়ী দিয়ে সেগুন গাছ সহ সরকারী বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পাচার করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান,তারা দৈনিক হাজিরার মাধ্যমে কাজ করে। তবে এ গাছের গাড়ী গুলো(ফরেস্ট) বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে লাইন খরচ দিয়ে গাছের গাড়ী নিতে হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার আদর্শগ্রামের পশ্চিমে সরকারী ১নং খাস খতিয়ানি প্রায় দেড় একর পাহাড়ী টিলায় সেগুন কাঠের কয়েকশত চারা গাছ কেটে নিধন করছে। যার ফলে পরিবেশ হারাচ্ছে পাহাড়ের পরিবেশ,রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। স্থানীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান,সেগুন গাছের বাগানের পুরো টিলা সরকারী খাস জায়গা। এ টিলা কাউকে বন্দোবস্তি বা বাগান করতে জোত দেয়নি। কয়েক বছর আগে টিলা অবৈধ ভাবে দখল করে সেগুন গাছের চারা রোপন করে। কিন্তু গাছ কাটার উপযুক্ত হওয়া তো দুরের কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি না নিয়ে চারা গাছ গুলো কেটে সাবাড় করেছে পুরো টিলাভূমি। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাহাড়ের গাছ কেটে ধ্বংস করছে বনাঞ্চল ও নষ্ট করে ফেলতেছে আদর্শ গ্রামের ১নং ইটের সলিং রাস্তাটি।বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। পৌরসভা ঘটিত হওয়ার পরে এ সড়কে উন্নয়ন তো দূরের কথা ১টি মেরামতের জন্য একটি ইটের খোয়াও পড়েনি। দ্রুত এ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্দ করতে পৌর প্রশাসকের প্রতি দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উত্তর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন,যে কোন গাছ কাটতে অনুমতি লাগবে।তবে সেগুন গাছের চারা গাছ কেটে নিধনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,অনুমতি নিয়েছে মৌখিক।লিখিত কোন অনুমতি নেয়নি। টিলা ভূমির জায়গাটি ফরেস্টের আওতাধীন নাকি সরকারী খাস জায়গা৷ এটি সরকারী খাস নাকি জানিনা,তবে ফরেস্টের না।
গাছ নিধনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাং শাহিদুল আলম জানান, গাছ কাটার বিষয়ে কেউ কোন অনুমতি নেয়নি।তবে অভিযোগ পেয়েছি,সরকারী খাস জায়গা থেকে সেগুন কাঠের চারা গাছ কেটে সাবাড় করছে।তদন্ত করে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।স্থানীয়দের নাম প্রকাশ না করার শর্তে শুনেছি টিলাভূমিটি সরকারী খাস জায়গা।
Leave a Reply