-
- চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম
- সাতকানিয়ায় পরিস্থিতির সুযোগে চরম বেপরোয়া দূর্বৃত্তরা-বালু ব্যবসায়ী,মাটি কান্ডে লাল এই জনপদ
- আপডেটের সময় : ডিসেম্বর, ২৪, ২০২৪, ২:০৫ অপরাহ্ণ
- 10 বার ভিউ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাতকানিয়ায় ছদাহা খাল থেকে উত্তোলিত বালু পরিবহনে বাধা দেয়ার ঘটনায় বালু ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়। গতকাল সোমবার বিকালে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বহনা মুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বালু ব্যবসায়ীদের দুইটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে পরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আহতদের মধ্যে রিদুয়ান নামের একজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বহিরাগত বেশ কয়েকজন মিলে উখিয়ার ছড়া থেকে বালু তুলে তা প্রতিদিন ট্রাক, মিনি ট্রাকে করে অন্যত্রে নিয়ে যাচ্ছিলো। এতে করে এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এলাকাবাসী বালু পরিবহনে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের আহতরা হলেন- বহনা মুড়া গ্রামের মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ শহীদ (২৩) নুরুন্নবীর ছেলে রিদয়ান(২৫) আবুল হাসেমের ছেলে সাইফুদ্দিন (৩৫) ও ছালেহ আহমদের ছেলে নুরুন্নবী (৪৫) অন্য দুইজনের নাম পাওয়া যায়নি।
মাওলানা ছগির শাহ (র.) পাড়ার স্থানীয় যুবকদের মধ্যে আব্দুর রহমান, সা’দ বিন নোমান, ওয়াহিদুর রহমান, শরফুদ্দিন, মুরাদুর রহমান, মো. রাসেল, নাঈম শাহ যথাক্রমে বলেন, ‘গত শনিবার আমরা মিয়া বাড়ির সামনে হাঙ্গর খালের ব্রিজের উপর বালুর ট্রাক জব্দ করেছিলাম। তারা স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতার অনুসারী দাবি করছিলেন। তাৎক্ষণিক আমরা তাদের নেতাদের সাথে কথা বলিয়ে দিতে বললে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। দেশের বড় দুইটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে দিনে দুপুরে তারা অবৈধ বালুর ব্যবসা করে যাচ্ছে। মূলত তারা কোনো মূলধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। তাই এসব আমরা কখনও মেনে নিতে পারি না। তাছাড়া বালু পরিবহনের ফলে আমাদের মূল সড়কে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তাঁরা আরও বলেন, আমরা সাতকানিয়া থানা পুলিশ ও ভূমি অফিসকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। একবার এসে নামমাত্র অভিযান করলেও, অভিযানের পর আবার একই কার্যক্রম চলমান। এর পেছনে পুলিশ ও ভূমি অফিসের কিছু দালাল রয়েছে। তারা বড় অংকের আর্থিক লেনদেন করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাখছে। যার প্রতিদান হিসেবে ৬ জন আহত হয়েছে। আমরা এসব বালু উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধ চাই।
সাতকানিয়া থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এদিকে কিছু স্থানীয়রা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,রাত-বিরেতে আমরা যখন সাতকানিয়া থানার ওসিকে কল দিই তাৎক্ষণিক ওনি ফোর্স পাঠিয়ে দেন,এখন আমরা ওসির এই সহযোগিতায় নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখি।
এই বিভাগের আরও খবর
Leave a Reply