আজ ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শীত মৌসুমের শুরুতে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম পড়েছে


মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:

শীত মোসুমের শুরুতে নগরীর ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের শীতের পোশাক গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। শতীতের শুরুতে গেল কয়েকদিন হঠাৎ জাপটে ধরেছে শীত।কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। তবে হঠাৎ শীত জেকে বসায় প্রস্তুত ছিল না নগরবাসী। যেকারনে গরম কাপড় কিনতে শিশু, কিশোর, বয়স্ক সব বয়সী ও শ্রেনী পেশার মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে নগরীর ভ্রাম্যমাণ ফুটপাতের দোকান ও শপিং মহল গুলোতে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইনেও বিভিন্ন আইটেমের ছোট বড় সব ধরনের গরম পোশাক বিক্রির বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। পোশাক গুলোর মধ্যে বিশেষ করে লম্বা হাতা মোটা কাপড়ের গেঞ্জি,মাথায় টুপি ওয়ালা গেঞ্জি,সোয়েটার, জ্যাকেট,জুতা, কেডস বিক্রি হচ্ছে। শপিং মলে কম্বল,চাদর,রেডিমেট ভিলেজার সহ বিভিন্ন রকমের গরম পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে। শীতের চাহিদা অনুযায়ী ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে পানির গরম করার জগ,ইলেকইলেকট্রনিক গিজার,রুম হিটার বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতা সমাগম বেশি।

নগরীর ডাকবাংলা,পিকচার প্যালেস মোড় ও ফেরিঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে হাকডাক ছেড়ে বিক্রি করা হচ্ছে বেশ কিছু শীতের গরম পোশাক। এসব দোকানে একশত, দেড়শত থেকে দুশত টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন গরমের পোশাক। দামে সাশ্রয়ী ও মান সম্পন্ন পোশাক হলে ক্রেতারা বেশি ভিড় জমাচ্ছে ফুটপাতে এসব দোকানে। কথা হয় ক্রেতা আসমা আক্তারের সাথে তিনি বলেন, আমার বাচ্চার বয়স ১০ মাস। এখনো তার গরম কাপড় কিনতে পারিনী আর হঠ্যাৎ শীত জেকে বসায় গরম কাপড় কিনতে এসেছি। দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম বেশি না হলেও গত বছরের তুলনায় বেশি নেওয়া হচ্ছে। আর এর কারন হিসেবে বলেন প্রতি বছর গরম কাপড়ের দামত কিছুটা হলেও বাড়ে।ক্রেতা শফিক হোসেন বলেন,শীত এত তাড়াতাড়ি চলে আসবে এ বছর বুঝতে পারিনী।এমনকি প্রস্তুত ছিলাম না।আমি সহ পরিবারের সবার জন্য শীতের গরম কাপড় কিনতে এসেছি। তবে মনে হচ্ছে গত বছরের চেয়ে দাম বেশি হাকাচ্ছে দোকানীরা।

এছাড়াও একই ধরনের কাপড় ভিন্ন ভিন্ন দোকানে ভিন্ন ভিন্ন দাম। তার পরও পোশাকত কিনতে হবে।এছাড়াও জুতার দোকানে কেডস দেখছি তবে দাম বেশি। শীতের সময় কেডসের চাহিদা থাকায় দাম বেশি হাকাচ্ছেন দোকানিরা। এ বিষয়ে কথা হয় ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে শীতের গরম পোশাক বিক্রেতা মো: পাবেল। তাকে বেচা বিক্রি সুম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বেচা কেনা ভাল হচ্ছে। সন্ধার পর আরও ক্রেতা সমাগম ঘটে। তিনি রাজধানী গুলিস্তানের মত বেচাকেনা হচ্চে বলে জানান।

এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে দাম কম একারনে ক্রেতা সমাগমের সাথে সাথে বেচা বিক্রিও বেশি। অপর দোকানদার মো: আফসার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ক্রেতা সমাগম অনেক তবে বেচাকেনার থেকে ক্রেতা যাচাই বাছাই বেশি করছে। অর্ধেক ক্রেতারা মাল কিনে না।তারা এক দোকান দেখে অন্য দোকানে চলে যায়। এ বিষয়ে খুলনা জলিল টাওয়ারের ব্যাবসায়ী মো: ইব্রাহিম শেখ বলেন, এখন আমরা গেল বছরের শীতের পোশাক বিক্রি করছি।এ বছর এখনো শীতের নতুন পোশাক আমদানি করা হয় নি। এ জব্বার মার্কেট ব্যাবসায়ী হোসেন আলী তিনি বলেন, আমরা বাহিরের দেশ থেকে আমদানি করা পুরাতন কাপড়ের বেল কিনে সেগুলো আবার মান ভেদে বিক্রি করি। এ বছর মনে হয় পুরাতন কাপড়ের বেলের দাম আরো বাড়বে।ক্রেতারা আসছে আগের তুলনায় কিছু টা বেশি বিক্রি হচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর