আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা প্রতিনিধি :
বাবার জন্য অঝোরে কাঁদছে আট বছরের মেয়ে মাহিরা খানম। তার বুকফাটা আহাজারিতেও প্রিয় বাবার দেখা মিলছে না।দুনিয়ার অনেক কিছু তার এখনো অজানা। তবুও তার চোখে যেন বাবাকে দেখার এক ধরনের ক্ষুধা। বাবা, বাবা করে খুঁজে ফেরে তার প্রিয় বাবার মুখ। এখনো সে হয়তো বুঝতে পারেনি, তার বাবাকে সে কখনো দেখতে পাবে না। পাবে না বাবার আলিঙ্গন।
সোমবার চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ ইয়ার খান ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। এয়ার খাঁন উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের সত্তারহাট ভিংরোল গ্রামের বৃদ্ধ ইউসুফ মিয়ার পুত্র। তিনি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আনোয়ারা শাখার কর্মকর্তা ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পরিবার,বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।সোমবার এশারের নামাজের পর জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে এয়ার খাঁনের বাড়িতে গিয়ে শোকের এক ভয়াল আবহ দেখা গেছে। নিহত এয়ার খাঁন স্বজনরা বাড়িতে এসে স্ত্রী ও মেয়ে সন্তানকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে।এয়ার খানঁ স্ত্রী শোকে মুহ্যমান হয়ে কারো সাথে কথা বলার অবস্থায় নেই। মেয়ে মাহিরা খানম স্বজনদের কোলে চড়ে এক রুম থেকে অন্য রুমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে আসা নতুন নতুন লোকজনকে ফ্যাল ফ্যাল চোখে দেখছে। অপরিচিত কেউ কোলে নিতে চাইলে যায় না। আদর করার জন্য কোলে নিতে চাইলেও বলে–বাবা আসলে বলে দিব। আর বাবা কোথায় জিজ্ঞেস করলে বলে–বাবা ঘুমাচ্ছে ।
Leave a Reply