জাফরাবাদ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ২ দিনব্যাপী বার্ষিক সভা গত ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি জমাবার ও শনিবার মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। শাহাজাদায়ে গারাংগিয়া মাওলানা মহিউদ্দিন মজিদী’র সভাপতিত্বে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপুর দরবার শরীফের পীরসাহেব আল্লামা আলহাজ্ব আবদুশ শাকুর (ম.জি.আ.)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিবেশন অনুসারে চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আকতারুল আলম ও চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপির সভাপতি আলহাজ্ব এম আইনুল কবির।
আলোচনা করেন চবির আরবী বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা ড. নেজাম উদ্দিন, মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা ইউসুফ বিন নুরী, মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা হাফেজ ক্বারী মুজিবুল হক, মাওলানা মুরাদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা কাজী ক্বারী এয়ার মোহাম্মদ, মাওলানা হারুনুর রশীদ হেলালী, মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা আহমদুর রহমান, মাওলানা ক্বারী মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
মাদ্রাসার অধ্যাপক মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মহিউদ্দিন মজিদী বলেন, শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) আদর্শ সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাঁর অনুপম চরিত্র-মাধুর্য ও সত্যনিষ্ঠার কথা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল। কিশোর বয়সে তিনি ‘হিলফুল ফুজুুল’ নামক শান্তিসঙ্ঘ গঠন করে সামাজিক অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আর্তমানবতার সেবা, অত্যাচারীকে প্রতিরোধ, অত্যাচারিতকে সহযোগিতা, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং গোত্রে গোত্রে সম্প্রীতি বজায় রাখা ছিল এ শান্তিসঙ্ঘের অঙ্গীকার বাণী। তিনি আরো বলেন, মানুষের কল্যাণে তাঁর গড়া স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানটি পৃথিবীর প্রথম সাংগঠনিক রীতিতে প্রতিষ্ঠিত আদর্শ সমাজ সংস্কারমূলক প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে তিনি সমাজ জীবনে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী সব কার্যক্রম প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিয়ে মক্কা থেকে যাবতীয় অন্যায়-অত্যাচার ও সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদ করে সুশীল সমাজ গঠনে সচেষ্ট হন। অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল বাদে ফজর খতমে কুরআন, খতমে খাজেগান, মিলাদ ও মোনাজাত। সভায় মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা।
Leave a Reply