মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুক্তি্যুদ্ধের। অজোপাড়া গায়ে যে সকল মা বোনেরা রাতের আধারে পাক-হানাদার বাহিনীর অত্যাচার মোকাবিলা করার জন্য উননে রান্না করে দুখীনি মা তার সন্তানকে মাথায় হাত দিয়ে বলেছিল যাও মুক্তি যুদ্ধে।তারা বাংলাদেশকে সাধীন করেছে।তারা প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধা।আওয়ামী লীগ মুক্তি যুদ্ধ করে নী। ৭২ থেকে ৭৫ বাকশাল কায়েম করে বাংলাদেশে যে আদর্শ সে আদর্শকে যখন আওয়ামী লীগ ধংস করে দিল।তখন সিপাহি জনতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে তৃতীয় বারের মত ডেকে এনে বাংলাদেশ পুর্নগঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাস্ট্রভাষা বাংলার জন্য আন্দোলোন করেছিল। তারা বলেছিল উর্ধু পশ্চিম পাকিস্তানের রাস্ট্রভাষা হতে পারে বাংলাদেশের ভাষা নয়। তারা কার্জন হলে দাড়িয়ে বলেছিল রাস্ট্রভাষা বাংলা চাই। বাংলাদেশের ইতিহাস মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, সাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস। ইতিহাস কখনো থেমে থাকে না।সে ইতিহাস চিরন্তন।যখনই প্রয়োজন পড়বে তরুণ সমাজ,নবিন সমাজ,নতুন প্রজন্ম তারা কিন্তু ঠিক সময় ঝাপিয়ে পড়েছে।তারা নিজের কথা চিন্তা করেনী,পরিবারের কথা চিন্তা করেনী, তারা বুকের রক্তের কথা চিন্তা করেনী, তারা সম্পদের কথা চিন্তা করেনী। তা চিন্তা করলে আবু সাঈদ বুক ফুলিয়ে বলতে পারত না আমার বুকে গুলি করো। আমি সাধীনতা আন্দোলনে থাকব। আমি বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, এদেশে যে জমিদারি প্রথা ছিল। সে জমিদারী প্রথা থেকে জনগন আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে।।এদেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। জুলাই, আগষ্টে ছাত্র,জনতা এমনকি শিশু প্রান দিয়েছে একটি কারনে।এদেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই আন্দোলন থেকে একটি অন্তবর্তিকালীন সরকার এসেছে।
এ সরকারের ওপর গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে বাংলাদেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। যে গনতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এটা হচ্ছে এ আন্দোলনের মুল কথা।৫ আগষ্টের বিপ্লব কোন বিচ্ছন্ন ঘটনা নয়। এসময় তিনি আরো বলেন, আজ থেকে আড়াইশো বছর আগে আমেরিকার জনগন যুদ্ধ করেছিল যে এদেশ থেকে বিদেশিদের বিতাড়িত করতে হবে।তার পর তারা ২৫০ বছর পর ও গনতন্ত্র বজায় রেখেছে। সেখানে তারা দুদিন আগে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি একজন দন্ডিত ব্যক্তি। তার দোষ গুন যাই থাকুক না কেন সেদেশের জনগণ নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে তাকে নির্বাচিত করেছে। এখানে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট দিতে হবে যেখানে ১৮ কোটি জনগনের ১২ কোটি ভোটার যাকে ভোট দিবেন তিনি এদেশের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।এখানে কোন দ্ধিমত পোষন করলে হবে না। বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না। বিএনপি জনগনের জন্য রাজনীতি করে। জনগন সেচ্ছায় ভোট দিয়ে বিএনপিকে যদি নির্বাচিত করে ইনশাআল্লাহ আমরা সরকার গঠন করবো।আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান এদেশের প্রধান মন্ত্রী হবেন। বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান আজ ৯ নভেম্বর দুপুর আড়াই টায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কের ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঐতিহাসিক পটভুমি ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথি বক্তব্য এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর বিএনপি আহবায়ক এ্যাড.শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দা নার্গিস আলী।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি,ডা: রফিকুল হক বাবলু,আক্তার জাহান রুকু,রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জাসাসের সৌজন্যে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিল্পী নাসরিন ও পলাশ।