বিশেষ প্রতিবেদন >>> জাতিসংঘের উদ্যোগ ও আন্তরিক সদিচ্ছায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে চলতি ফেব্রুয়ারী মাস এবং আগামী মার্চ মাসে বিশ্বের বৃহত্তম শরনার্থী শিবির রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, মায়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপ এবং জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) প্রধান হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।এর মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসবেন মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে।এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।এর পরপরই ২৭ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে বাংলাদেশে আসবেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) প্রধান হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।তিনিও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসবেন।জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ঢাকায় আসার আগ পর্যন্ত আরও কয়েকটি প্রতিনিধিদলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প আসার কথা রয়েছে।আগামী মাসে জাতিসংঘের মহাসচিবের ঢাকা সফর নিশ্চিত হয়েছে, তবে দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা চলছে।ঢাকা সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিষয়ে বৈঠক করবেন।এ ছাড়া তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে যাবেন। সেখানে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান, রোহিঙ্গা নেতা ও নিরাপত্তাসহ দায়িত্বে থাকা সব পক্ষের মতামত জানবেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে সব পক্ষের মতামত নেবেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস।উল্লেখ্য, সর্বপ্রথম ১৯৭৮ সালে দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ-মায়ানমারের সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে আসে। ১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযানের শিকার হয়ে কক্সবাজারে আসে আরো ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। এরপর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলা গণহত্যা চালানোর পর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আসে আরো সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এদের সাথে আগে থাকা উল্লিখিতরা মিলে কক্সবাজার জেলা এখন ১৩ লাখ রেহিঙ্গা শরণার্থীর আবাসভূমি। এদের ৬ লাখ এখন আছে শরণার্থীদের জন্য নির্মিত কুতুপালং মেগা শিবিরে। আর এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির।তবে চীনের মধ্যস্থতায় মায়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় প্রত্যাবাসন নিয়ে গত ৭ বছরে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগে সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেয়।
Leave a Reply