অনলাইন ডেস্ক: হোটেল রেডিসন ব্লুতে চারদিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ারে ফ্ল্যাট, কর্মাশিয়াল স্পেস ও প্লট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১০ কোটি টাকা। তবে মেলায় ফ্ল্যাট কর্মাশিয়াল স্পেস ও প্লট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এছাড়াও কমিটমেন্ট এসেছে আরও ৫৫ কোটি টাকার।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মেলার সমাপনী উপলক্ষে রাত সাড়ে ৮টায় সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন রিহ্যাব পরিচালক ও রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো–চেয়ারম্যান মো. মোরশেদুল হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম ভূঁইয়া, সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, সদস্য শারিস্থ বিনতে নূর, সদস্য নূর উদ্দিন আহাম্মদ, সদস্য মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান, সদস্য রেজাউল করিম, ফেয়ার অর্গানাইজিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জাফর, সদস্য হৃষিকেশ চৌধুরী, সদস্য এএসএম আবদুল গাফফার মিয়াজী, সদস্য আশীষ রায় চৌধুরী, সদস্য নূর মোহাম্মদ ও সদস্য এসএম আদিবুল হুদা।
রিহ্যাব পরিচালক ও রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো–চেয়ারম্যান মো. মোরশেদুল হাসান বলেন, মেলার চারদিন অনেক ক্রেতা–দর্শনার্থী এসেছেন। বিশেষ করে শুক্র, শনি এবং রোববার মেলায় দর্শনার্থীর ঢল লক্ষ্য করা গেছে। মেলার ৪ দিনে প্রায় ৫ হাজার ২৩৫ জন ক্রেতা-দর্শনার্থী মেলা প্রাঙ্গণ ভিজিট করেছেন। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্রেতাদের জন্য যে সকল অফার নিয়ে এসেছে, মেলা চলাকালীন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় মেলা শেষ হওয়ার পরেও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির নিজস্ব অফিসে সে সকল সুযোগ সুবিধা বহাল থাকবে।
তিনি বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে বেশি ফ্ল্যাট, কর্মাশিয়াল স্পেস ও প্লট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে। করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। আমরাও এর বাইরে নয়। নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমরা সেই পরিমাণ ফ্ল্যাটের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারিনি।
উল্লেখ্য, এবারের মেলায় ৪২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এছাড়া দুটি গোল্ড স্পন্সর, ১৪টি কো-স্পন্সরসহ আরও ১৬টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং ৫টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ৫টি অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
Leave a Reply