এস. এ. নয়ন, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: ফুলে ফলে ভরা মন জুড়ানো সারি সারি বেগুন গাছে ঝুলে রয়েছে বেগুন। ২ কানি জমিতে রোপণ করছিল বেগুন গাছ। প্রতি বাজারে বিক্রি করা হয় ১০ হাজার টাকার বেগুন। এক মাসে বিক্রি করা হয়েছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকার বেগুন। বেগুন বিক্রির টাকা দিয়ে সংসারের অভাব মোচন হবে,আসবে স্বচ্ছলতা।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড রাজারহাটের দক্ষিণ খন্ডলিয়া পাড়ার গ্রামের দরিদ্র কৃষক উকিল আহমেদ প্রকাশ তুফানের একবুক স্বপ্ন ঘেরা তার বেগুন বাগানে কাল নজরে একরাতে তছনছ করছিল সেই স্বপ্ন। সেই রাতে কচু কাটানি দিয়েছে বেগুন ক্ষেতে,সবকটি বেগুন গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (১০ এপ্রিল) দিনগত রাতে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মাচায় লাগানো দুই বিঘা ক্ষেতের বেগুন, করলা, লাউ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া কলা গাছের পাকা কলাও কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে যেমন তার অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তেমনি অতঙ্কে আছেন অনেক কৃষক।
কৃষক উকিল আহমেদ বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার বেগুন ক্ষেতে যাই। গিয়ে দেখি আমার ক্ষেতের সব বেগুন গাছসহ অন্যান্য সকল ফসল কেটে ফেলা হয়েছে। ঋণের টাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেক যত্নে বেগুন ক্ষেত করেছি। বিক্রিও শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমার সুখ সইলো না। কে বা কারা রাতের আঁধারে আমার দুই কানি ক্ষেতের টমেটো গাছ কেটে ফেলেছে। আমি তো কারও কোনো ক্ষতি করি না, তবে কেন আমার এ ক্ষতি করলো তারা। আমি এর কঠিন বিচার চাই, বিচার দেখে যেন আর কেউ এমন জঘন্য অপরাধ না করে। আমি থানায় অভিযোগ করবো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলিম সিকদার বলেন, উকিল আহমেদ এই এলাকার একজন দরিদ্র কৃষক। সে আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছে তার ফসলি ক্ষেত কেটে ফেলার বিষয়ে। তবে কে বা কারা কেটেছে তার সঠিক নাম দিতে না পারায় ব্যবস্থা নিতে কষ্ট হচ্ছে। তবে যে বা যারা এমন নিন্দনীয় কাজ সংগঠিত করেছে তাদের বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লোকন বিশ্বাস বলেন , বেগুন ক্ষেত ও অন্যান্য ফসল গাছ কেটে ফেলার কোনো অভিযোগ পাইনি। এমন ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক মামলা করতে পারেন। তিনি সহায়তার আবেদন করলে, আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।