এস. এ. নয়ন, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে ২০০বছরের প্রাচীন জমির উদ্দিন শাহ (রাঃ) মসজিদে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার নামাজ, সকালে ফোরকানিয়া সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্টান হয়ে থাকে। মসজিদটি ধামাইরহাট বাজার সংলগ্ন হওয়ার বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা এই মসজিদে নামাজ পড়েন। এছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে অনেকে আসেন মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐতিহ্যবাহী ব্যস্ততম এই মসজিদে একটি নলকূপ ছাড়া নেই কোন অজু খানার ব্যবস্থা। মসজিদের পূর্ব পাশে যে একটি পুকুর রয়েছে তাও বিভিন্ন কারণে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় মুসল্লিদের অজু নিয়ে বেগ পেতে হয়। এখানে একটা অজুখানার ব্যবস্থা করা হলে এই সমস্যা লাগব হবে বলে মনে করেন তারা।
সরজমিন মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, একটা আকদ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে দূরদুরান্ত থেকে অনেক মেহমান এসেছেন। কিন্তু আগত মেহমানরা অজু নিয়ে সমস্যায় পড়েন। তাদের মধ্যে একজন জানান, এত বড় মসজিদ অথচ অজু করার কোন ব্যবস্থা নেই। পাশে যে পুকুর আছে তার পানিও নষ্ট হয়ে গেছে।
ধামাইরহাট বাজারের ব্যবসায়ী এ- মসজিদের নিয়মিত এক মুসল্লী জানান, আমি বাজারে অবস্থানকালে এই মসজিদে নামাজ আদায় করি। কিন্তু এখানে কোন অজুখানার ব্যবস্থা নেই। যে একটি নলকূপ আছে লাইনে দাঁড়িয়ে সেখানে অজু করতে হয়। সবচেয়ে বেশী সমস্যা হয় জুমার নামাজে। দ্রুত অজু খানার দিকে কতৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
স্থানীয়রা জানান, এই মসজিদটি রাঙ্গুনিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মসজিদ। এখানে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ এবং মাজার জেয়ারত আসেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই মসজিদে এখনো কোন অজু খানার ব্যবস্থা নেই। মসজিদের পাশে যে পুকুরটি আছে তাও অনুপযোগী হয়ে থাকে। আশা করি কতৃপক্ষ শীঘ্রই একটি অজুখানার ব্যবস্থা করবেন।
মাসজিদের ঈমাম জানান, অজুখানা না থাকায় একটু সমস্যা হয়। তবে আশা করি শীঘ্রই এখানে অজুখানা হবে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট আবু বক্কর জানান, প্রাচীন এই মসজিদ একটি অজুখানা ছাড়া সবদিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা খুব শীঘ্রই একটি হেফজখানা সহ অজুখানার ব্যবস্থা করবো। মূলত রডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা এতদিন কাজ শুরু করতে পারিনি।