আজ ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাউজানে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি


রাউজান প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের রাউজানের হচ্ছারঘাট অংশে সর্তা খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে খালের পাড় ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষি জমি। খালের দুই পাড়ে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। (২৪ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছারঘাট অংশে সর্তা খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে খালের ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। খালের ভাঙনের রাউজান অংশে ফসলী জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক’শ কৃষকরা।

ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ব্যাপক কৃষি জমি। দেখা গেছে, রাউজান অংশে ভাঙনে ফটিকছড়ি সীমনায় জেগে উঠছে বিশাল চর। এসব চর দখলে নিয়ে ফটিকছড়ি এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। একই সঙ্গে রাউজান অংশেও একটি সিণ্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।

রাউজান-ফটিকছড়ি অংশে কোন প্রকার ইজারা ছাড়া সর্তা খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা। যার ফলে প্রতিনিয়ত সর্তা খালের ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে এলাকার মানুষের বসতঘর, ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে সরকার হারাচ্ছে বড় একটা রাজস্ব আয়।

জানা যায়, এই খাল থেকে বালু উঠানোর জন্য সরকারি ভাবে কোন মহলকে ইজারা দেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালের ভিতর পাম্প মেশিন বসিয়ে বালু উঠিয়ে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। ফলে খালের ভাঙনে প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে শত শত একর ফসলি জমি আর বাড়ি ঘর।

রাউজান উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট ও ফটিকছড়ি খিরাম এলাকায় সর্তা খালের মধ্যে দু’পাড়ে বালু খেকোরা চারটি পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় সোয়াইব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, রাউজানে অংশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে আমাদের ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর ভাঙনের মুখে পড়েছে।

ইতিমধ্যে হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট এলাকায় ৫০ একরের বেশী ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে ফটিকছড়ি অংশে বিশাল চর জেগে উঠেছে। জেগে উঠা চর দখল করছে ফটিকছড়ি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বালু উত্তোলণ বন্ধ করা হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।সম্প্রতি রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিদুয়ানুল ইসলাম সর্তা খাল থেকে বালু উত্তোলণ করা বালু জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হয়, এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, রাউজানে কোনো বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়নি। যদি কেউ ইজারা বিহীন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন তাহলে আমরা অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর