মোঃ ইনামুল হক, রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হবে। বড়দিন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে চার্চগুলোতে কয়েকস্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। বিভাগের ১ হাজার ২৮৮টি গির্জার মধ্যে এবার ২০৬টি গির্জায় কেন্দ্রীয়ভাবে বড়দিনের উৎসব পালন করা হবে। এছাড়াও নিজস্ব উদ্যোগে আরও কিছু গির্জায় বড়দিনের উৎসব পালিত হবে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চার্চগুলো। ইতোমধ্যে প্রতিটি গির্জায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এই নিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দ উৎসব বিরাজ করছে।
জানা গেছে, রংপুর বিভাগে সবচেয়ে বেশি গির্জা রয়েছে দিনাজপুর জেলায়। এই জেলায় মোট গির্জার সংখ্যা ৭১০টি। এর মধ্যে ২০টি গির্জায় বড়দিন উদযাপিত হবে। রংপুর জেলায় গির্জা রয়েছে ১০৭টি। যার মধ্যে ৮৬টি গির্জায় বড়দিন উদযাপিত হবে।
একইভাবে পঞ্চগড় জেলার ৫৭টি গির্জার মধ্যে ২০টি, ঠাকুরগাঁও জেলার ২৮৭টি গির্জার মধ্যে ৬০টি, নীলফামারী জেলার ৮৩টি গির্জার মধ্যে ১২টি, লালমনিরহাট জেলার ১৯টি গির্জার মধ্যে ৩টি এবং কুড়িগ্রাম জেলার ২৫টি গির্জার মধ্যে ১টি গির্জায় বড়দিন উদযাপিত হবে।
রংপুর ডিআইজি অফিসের অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন যাতে নির্বিঘ্নে পালিত হয় সেজন্য প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি গির্জায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সেই সাথে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে গির্জাগুলোতে। আশা করছি আনন্দঘন পরিবেশে খিস্ট্রান সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের সবচেয়ে এই বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালন করবে।
রংপুর চার্চের সাবেক ফাদার পালক পলকারি জানান, ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে ধর্মীয় উপাসনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভোজন ও আনন্দ উৎসব পালন করা হবে। এজন্য চার্চগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে রংপুর চার্চের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।