মোঃইনামুল হক, রংপুর
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চার জনকে হত্যার মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব সিআইডি’কে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলা কালে গত ১৯ জুলাই রংপুর নগরীর সিটিবাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলার সময় পুলিশের গুলিতে চার জন নিহত হন। তারা হলেন– শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির, ফল ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম, সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন ও স্বর্ণশিল্পী মোসলেম উদ্দিন। নিহতদের স্বজনরা বাদী হয়ে আদালতে পৃথক চারটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাগুলো এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশের পর রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালি থানায় চারটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাদাকাত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, রংপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাফিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই আকমল হোসেনসহ অনেকেই আসামি। ইতোমধ্যে তুষার কান্তি মন্ডলসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে চারটি হত্যা মামলাই তদন্ত করার জন্য রংপুর সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেয়। পুলিশ হেড কোয়ার্টারের অ্যাডিশনাল ডিআইজি রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ২-১ দিনের মধ্যে চারটি হত্যা মামলার সব নথিপত্র সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে রংপুর কোতয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, চারটি হত্যা মামলাই তদন্ত করবে সিআইডি। পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।