মোঃ ইনামুল হক, রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম এর মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী, বিয়ে না হওয়ার পরেও সাত মাসের গর্ভবতী হওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গতরাতে ১৯ শে ডিসেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
সরেজমিন গিয়ে ও অভিযোগ সুএে -জানা যায় যে, বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের খোঁড়াজান পাড়ার আঃ মান্নান মিয়ার ছেলে সাদিকুল ইসলাম (৪২) এর সাথে একই পাড়ার শফিকুল ইসলাম এর নাবালিকা মেয়ের সাথে অবৈধ ভাবে সম্পর্কের বিষয়ে।
ভুক্তভোগীর মা- বলেন -গত সাত মাস আগে আমাদের বাড়িতে হঠাৎ করে সাদিকুল ইসলাম আসে, বেশিক্ষন থাকে নাই, আবার চলেগেছে। তবে সাদিকুল ইসলাম প্রতিবেশী সম্পর্কে আমার স্বামীর জেঠাতো বড় ভাই হওয়ায় সে আমার (ভাসুর) হয়।সেই দিন আমার নাবালিকা মেয়ে ও ছোট ছেলে আমাদের বাড়ির সামনে খেলা করছিলো আর আমি বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সাদিকুল যে খারাপ উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছিলো আমি বুঝতে পারিনি।
ভুক্তভোগীর – মা আরও বলেন – আমার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে মেয়েকে বুঝিয়ে বলি, তুমি ভয় পেয়ো না আমি তোমার পাশে আছি আমাকে সব কথা বলো, তোমার কি সমস্যায় আসো,
তখন আমার নাবালিকা মেয়ে বলে -সাদিকুল আমাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাহার নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। মুখ চেপে ধরেছিলো সাদিকুল। আরও বলেছে যদি কাহার কাছে এই বিষয়ে বলা হয়, তাহলে তাহাকে মেরে ফেলবে। তাই সে ভয়ে বলতে পারেনি বলে জানায়। তবে ভুক্তভোগীর মা পরিবেশ প্রতিবেদক কে আরও বলেন – -গত ৭ই ডিসেম্বর (শনিবার) তাহার মেয়ের পেটে ব্যাথা হওয়ায় তখন তিনি স্থানীয় চিকিৎসক মেনাজুল হকের কাছে পাঠানের হাটে মেয়ে কে নিয়ে যান। চিকিৎসক মেয়ে কে দেখার পরে বলে আপনার মেয়েকে মেডিকেল এ নিয়ে যান, আমার চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। তখন তিনি বদরগঞ্জ মেডিকেল নিয়ে গিয়ে তিন টাকার টিকিট নিয়ে ডাক্তার দেখায়, ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলে। মেডিকেল এর পাশেই ডে-লাইট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করার পরে রিপোর্টে জানতে পারে তাহার মেয়ে সাত মাসের গর্ভবতী।
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ্য যে, এই উক্ত বিষয়ে বিবাদীর বাড়িতে গেলে বিবাদী সাদিকুল ভুক্তভোগী পরিবারকে টাকার লোভ লালসা দেখায় এবং নাবালিকা মেয়ের পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বলে। স্থানীয়ভাবে অনেকে মীমাংসার চেষ্টা করে। তবে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম্য পুলিশের সহযোগিতায় থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
বদনগঞ্জ থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা -আতিকুর রহমান বলেন এই বিষয়ে এজাহার মুলে মামলা হয়েছে। কোর্টে পাঠানো ও ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আসামী ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply