এনামুল হক রাশেদী
ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই দেশ পুরোপুরি বৈষম্য মুক্ত হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন,আমাদেরকে আগামী দিনে ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য কাজ করতে শক্তি ও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, ভালো মানুষের হাতে নেতৃত্বের ভার প্রদান করতে হবে, তাহলেই একটি বৈষম্যহীন ও ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে দেশ পুরোপুরি বৈষম্যমুক্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, কুরআনের আদর্শ ছাড়া উত্তম সমাজ বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না, তাই আমাদেরকে ইসলামের সুমহান আদর্শ চর্চার মাধ্যমে আদর্শ মানবজীবন গঠনের জন্য কাজ করতে হবে এবং আদর্শিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াতকে সকল মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানান।
যুব ফোরাম হালিশহর থানার উদ্যোগে বিডিআর মাঠে সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এ বি এম ছিদ্দীকুল্লাহ’র সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও নগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার। মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের অধ্যাপক প্রফেসর ড. বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারী, বিশেষ ওয়ায়েজ ছিলেন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামিল মাদানী মাহফিল উদ্বোধন করেন হালিশহর যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফখরে জাহান সিরাজী।
মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন হালিশহর এ বক্ল বাসস্ট্যান্ড হযরত ওসমান (রাঃ) জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রিয়াজুর রহমান আল-আরাবী, কাট্টলী জাকেরুল উলূম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও হালিশহর এইচ বক্ল জামে মসজিদের খতিব মো. শাহ আলম, ফয়েজ লেক জামে মসজিদের খতিব বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল আমিন মাহ্দী। মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ফোরাম হালিশহরের নেতৃবৃন্দ আবুল কালাম আজাদ, ড. মো. শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা মো. সোলায়মান, ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল হক, মো. মাকসুদুল মাওলা, মো. জাহের খান, আহমদ শফি প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এখনো দেশের বিরুদ্ধে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। আর এসব ষড়যন্ত্র বাংলার তাওহীদি জনতা রুখে দেবে। ফ্যাসিবাদী শক্তি আসার সকল দরজা বন্ধ করে দিতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রকারীরা আদালত চত্ত্বরে একজন তরুণ আইনজীবীকে শহীদ করেছে। ভারতে আগরতলায় বাংলাদেশের দূতাবাস জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা মনে করেছিল বাংলার স্বাধীনতাগামী জনগণ হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করবে। তাদের এসব ষড়যন্ত্র বাংলার জনগণ ধৈর্য্যের সাথে মোকাবেলা করেছেন। সামনেও যেকোনো ষড়যন্ত্র শান্ত থেকে ধৈর্য্যের সাথে মোকাবেলা করা হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমির ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, একমাত্র নবী মুহাম্মদ (স.) আল্লাহ তায়ালার সাথে দিদার করেছেন। আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাতে ১৪টি দফা নিয়ে আসেন। কিভাবে রাষ্ট্র চালাবে, মানুষ কিভাবে সুখী সমৃদ্ধশালী হবে, বৈষম্যহীনভাবে কিভাবে বসবাস মানুষ করবে আল্লাহ তায়ালা এসব দফা আমাদেরকে দিয়েছেন। নবী মুহাম্মদ (স.) যুদ্ধে লোহার টুপি পড়েছেন। অথচ মানুষেরা নবী মুহাম্মদ সা:) কে মসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
তিনি বলেন, বিগত ১৮ বছরে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে ইসলামের উপরে। সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, কমিউনিজমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা সাবেক প্রধান মন্ত্রী নয়। সে খুনি, সে দাজ্জাল। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বাংলাদেশ থেকে ২ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। ইসলামকে বাদ দিয়ে এই দেশে সেকুলারিজম চলবে না।