মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে খুলনার সুশোভন বাছাড়। সরকারী বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ২০২৪- ২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে খুলনার ছেলে সুশোভন বাছাড়। দ্ধিতীয় স্থান অধিকার করেছে অপুর্ব বিন সিরাজ নামের এক শিক্ষার্থী ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে শেখ তাসনিম ফেরদৌস নামের এক শিক্ষার্থী।আজ ১৯ জানুয়ারী বিকাল ৪ টায় এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত সুশোভন বাছাড় পেয়েছেন ৯০.৭৫। সুশোভন খুলনার বয়রা এলাকার বাসিন্দা সুভাষ বাছাড়ের ছেলে।সে খুলনা মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। প্রসঙ্গত শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী সকাল ১০ টা থেকে ১১ পর্যন্ত সরকারী বেসরকারী মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ১৯ টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে এ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬১ টি।কোটা সহ মেডিকেলে আসন ৫ হাজার ৩৮০ টি।এ হিসেবে এ বছর একটি আসনের বিপরীতে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরিক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরিক্ষায় সরকারী বেসরকারী মেডিকেলের জন্য ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন। দেশে সরকারী মেডিকেল ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারী। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।এর পর তিন পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা এক সরকারী কলেজ থেকে অন্য সরকারী কলেজে মাইগ্রেশনের জন্য সুযোগ পাবে।সরকারী মেডিকেলের ভর্তি পরিক্ষা শেষে বেসরকারীতে শুরু হবে। দেশে মেডিকেল কলেজ আছে ১০৪ টি। এর মধ্যে ৩৭ টি মেডিকেল কলেজে আসন ৫ হাজার ৩৮০ টি।অন্যদিকে বেসরকারী মেডিকেল কলেজ আছে ৬৭ টি। বেসরকারী কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২৯৩ টি। এদিকে মেডিকেল প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী সুশোভন বাছাড়ের অনুভুতি জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমার পরিক্ষা শেষে ধারণা ছিল ৯০ পয়েন্টের কাছাকাছি পাবো। মেধা তালিকায় ১০ নম্বর থেকে দুই বা তিন নম্বরে থাকবো। কিন্তু প্রথম হবে এটা কখনো ভাবিনি। রেজাল্ট দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না,কেঁদে ফেলেছি। সুশোভন বাছাড় বলেন, সততার সাথে পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবে। ভবিষ্যতে একজন ভালো মনের মানুষ হয়ে দুস্থ ও অসহায় গরীব মানুষের পাশে থেকে ডাক্তার হয়ে সেবা দিতে করতে চাই। তার সাফল্যর পেছনে বাবা,মা, শিক্ষক সহ বন্ধুদের অনুপ্রেরনা তাকে এ সাফল্যে পেতে অনুপ্রানিত করেছে।তিনি সকলকের কাছে দোয়া চান। তার পিতা বলেন,আমি একজন স্কুল শিক্ষক। আমার ছেলের পরিশ্রমের ফলে আজকের এ রেজাল্ট। সে বিনা মেডিকেল কোচিংয়ে এ সাফল্য অর্জন করেছে। ভালো রেজাল্টের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয় না পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই।
Leave a Reply