অনলাইন ডেস্কঃ ভাগ্য বলতে একটি বিষয় আছে যা অনেকে মানেন আবার অনেকে মানেন না। এজন্য পরিশ্রমকে সৌভাগ্যের প্রসূতি বলা হয়। এবারের উপজেলা নির্বাচনে মিরসরাইতে যারা চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন তারা সকলেই আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা। স্থানীয় পর্যায়ে কারো চেয়ে কারো সমর্থন নগণ্য নয়। এজন্য কেন্দ্র থেকে কোন্দল ছড়িয়েছে তৃণমূলে। এখন ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে পদটির বিষয়।
মিরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, চট্টগ্রাম উওর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, ইউকে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মোস্তফা ভুঁইয়া এবং উত্তম কুমার শর্মা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সেলিম (শেখ সেলিম), সালাহ্ উদ্দিন আহম্মদ, মোহাম্মদ সাইফুল আলম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা ফেন্সি, বিবি কুলছুমা চম্পা, উম্মে কুলসুম কলি।
আরও পড়ুন মিরসরাইয়ে শীতকালীন সবজি আবাদ করেছে কৃষক
এদিকে ভোটের ক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে মিরসরাইতে ততই অস্থিরতা বাড়ছে চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাশীদের।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’ এবারের নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের একে অপরের বিগত দিনের মধুর সম্পর্ক এখন বিরোধে রূপ নিয়েছে। এতে দলের নেতাকর্মী ও অনুসারীরাও আছেন বেশ অস্বস্তিতে। বিরোধের কারণে এখন কারো কারো মুখ দেখাদেখিও বন্ধ।
জেলা ও উপজেলার প্রভাবশালী নেতারা কোথাও প্রকাশ্যে, কোথাও অপ্রকাশ্যে পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। এতে করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছড়িয়ে পড়ছে তৃণমূল পর্যায়ে।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মাঠে নেমে পড়েন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। প্রচারণায় পরস্পরকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের একে অপরের বিগত দিনের মধুর সম্পর্কও এবার চরম বিরোধে রূপ নিয়েছে। এতে দলের নেতাকর্মী ও অনুসারীরাও আছেন বেশ অস্বস্তিতে। বিরোধের কারণে এখন কারো কারোরই মুখ দেখাদেখিও বন্ধ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলার শীর্ষ নেতারা একেকজন একেক প্রার্থীর প্রতি মৌন সমর্থন দিচ্ছেন। এতে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে উঠেছে, যা দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত