বসতঘরে প্রবেশ করে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে, এমন মিথ্যা মামলা করার দায়ে আছিয়া খাতুন (৫২) নামের এক নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যান দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন। এর আগে আছিয়া খাতুন ট্রাইবুনালের কাছে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আছিয়া খাতুন ভুজপুরের পোড়াটিলা পূর্ব ফটিকছড়ির আবুল বসরের স্ত্রী। একই থানা এলাকার আজিমপুর এলাকার কেএম এনায়েতুল্লাহ খোকন (৩২) নামের এক যুবক আছিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যান দমন আইনের ১৭/৩০ ধারায় মামলাটি করেন। এ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৯ আগস্ট কেএম এনায়েতুল্লাহ খোকনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যান দমন আইনের ১০ ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন আছিয়া খাতুন। ট্রাইব্যুনাল তখন মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
নির্দেশ অনুযায়ী পিবিআই উক্ত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদনও দায়ের করে। সে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল খোকনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়। পিবিআইয়ের উক্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী- আছিয়া খাতুনের শ্লীলতাহানির অভিযোগ সত্য নয়। তাকে খোকন কিংবা অন্য কেউ শ্লীলতাহানি করেননি। পূর্ব শত্রুতার জেরে মামলায় ফাঁসাতে উক্ত মিত্যা অভিযোগ করেছিলেন আছিয়া খাতুন।