সাঈদুর রহমান চৌধুরীঃ চট্টগ্রামে আইএলও ১৯০ ও হাইকোর্টের ভার্ডিক্ট ২০০৯ বাস্তবায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও আওয়াজ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠন দুটির যৌথ আয়োজনে গত রবিবার( ১০ এপ্রিল ) চট্টগ্রামের লালখান বাজারের পিটস্টপ রেস্টুরেন্টের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। আলোচনা সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে জিবিভি প্রজেক্টের ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি, সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোঃ ইব্রাহীম খলিল ভূঁইয়া। আওয়াজ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ ইব্রাহীম খলিল ভূইয়ার সভাপতিত্বে এই গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চসিকের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জেসমিন পারভিন জেসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়েজিদ বোস্তামি থানা আওয়ামিলীগের সিনিয়র সহ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল নবী লেদু,ক্লিফটন গ্রুপের জোনাল এডমিন, মেজর (অবঃ) এম. এ. সিদ্দিক চৌধুরী। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, বায়েজিদ বোস্তামি থানা,ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, মহিলা অধিদপ্তর, ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার, ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্ট ঃ ক্লিফটন গ্রুপ, ফোর এইচ গ্রুপ, চৌধুরী ফ্যাশন ওয়্যার লিঃ, সিটি কর্পোরেশন, সংশপ্তক, স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেশন, ব্লাস্ট,ইলমা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ,অপরাজেয় বাংলাদেশ, ইউসেপ বাংলাদেশ, বিলস, সাংবাদিক, ট্রেড ইউনিয়ন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি, গ্রুপ সদস্যদের কয়েকজন। উক্ত গোল টেবিল বৈঠক উপলক্ষে ধারণা পত্র পাঠ করেন আওয়াজ ফাউন্ডেশন এর প্রজেক্ট ফ্যাসিলিটেটর রুমা দত্ত। শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ মাসুম,মোঃ সাইফুল,যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সভাপতি কহিনুর আক্তার, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সালমা আক্তার, শাহিদা আক্তার মায়া। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দরকার। কারণ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে না পারলে পরিবার, সমাজ তথা দেশ পিছিয়ে যাবে। নারী পুরুষদের তুলনায় অধিক পরিশ্রম করেন। তাদের কারনেই আজ আমরা সবাই সফল এবং দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।বিশেষ করে আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনু স্বাক্ষর ও হাইকোর্টের ভার্ডিক্ট, ২০০৯ এর সফল বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আবেদন রাখেন সকল অংশগ্রহণকারী। তারা বলেন কর্ম এলাকায় ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্ট, নারী -পুরুষ শ্রমিকদের নিয়ে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ফ্যাক্টরিতে নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব। তবে আইনের সঠিক বাস্তবায়ন হলে সকলেই নিরাপদে কাজ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে শ্রমিক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্ট সহ সবাই ফ্যাক্টরির ভিতরে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও কর্ম পরিবেশ নিরাপদ রাখার জন্য সর্বত্র সর্বোচ্চ মাত্রায় সহযোগিতামূলক কাজ করবেন বলে কথা দেন।
Leave a Reply