জান্নাতুল আদন:
ছোটগল্পের স্বভাবধর্মই হলো যাপিত জীবনের সঙ্কট, সম্ভাবনা ও পরিণতিকে উন্মোচন করা। এই স্বভাবধর্মই ছোটগল্পকে ক্রমশ জীবনঘনিষ্ঠ করে তুলেছে। সমাজের অসঙ্গতি, সঙ্কট, স্ববিরোধিতা, সাধারণ মানুষের মোলিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কথা বলতে ছোটগল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমকালীন বাংলা ছোটগল্পঃগতি ও প্রকৃতি বিষয়ে বাংলা ভাষার একমাত্র গল্পবিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘গল্পকার’ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকদের এমন মন্তব্য উঠে আসে।
আরও ছোটগল্প কেন?, গল্পলেখা কিভাবে শুরু করা যায়, গল্পের আইডিয়া, গল্পলেখার মানসিক প্রস্তুতি, গল্পের বিষয় ও প্রক্রণ, একটি গল্প কখন গল্প হয়ে ওঠে, গল্পে কি লিখব কি লিখব না, ছোটগল্পের আন্তর্জাতিকতা বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন পর্যায়ক্রমে কথাসাহিত্যিক ওমর কায়সার, আনোয়ারা আলম, বাদল সৈয়দ, মোহীত উল আলম, হরিশংকর জলদাস, আহমেদ মাওলা, আজাদ বুলবুল, এবং গল্পকার সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন।
আলোচকরা বলেন, সামাজিক অবক্ষয় থেকেই একাকিত্ব, বিচ্ছিন্নতা ও নিঃসঙ্গতা ঘিরে ধরে ব্যক্তিজীবনকে। প্রবলভাবে জীবনঘনিষ্ঠ শিল্পমাধ্যম হিসেবে ছোটগল্পে ব্যক্তিজীবনের এই সঙ্কটগুলোকে তুলে আনা জরুরি । চলমান রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা, সংস্কৃতির বাঁকবদল ও অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের প্রভাব নির্মোহভাবে নিরীক্ষার মাধ্যমে গল্পে উঠে আসে যা সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্পূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গল্পের ভাব, ভাষা, বিষয়বস্তু ও নির্মাণশৈলী সমকালীন না হলে পাঠক গল্পপাঠে নিষ্ঠা অর্জন করতে পারেন না।
‘গল্পকার’ আয়োজিত গোলটেবিলের উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কথাসাহিত্যিক হাফিজ আল ফারুকী, সাইদুল আরেফীন, আলমগীর শিপন, আলী আসকর, গাজী ফারুক আহমদ পৃথ্বী, মহি মুহাম্মদ, তাসমিমা মমতাজ, মাসমিমা মমতাজ, তোফিকুল ইসলাম চোধুরী, দেবাশীষ ভট্রাচায প্রমুখ।
‘গল্পকার’ গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন গল্পকার সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কবি রেহানা পারভীন।
Leave a Reply