চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ
১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকায় একমাত্র ইংলিশ ভার্সন স্কুল “লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ” অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের অক্সিজেন কয়লার ঘর (মীম কমিউনিটি সেন্টারের পাশে) লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নিজস্ব ভবনে এ আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্ৰুপে দেড় শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে তিন গ্রুপে ৯ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদেরকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো: সোহেল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার
মোহাম্মদ মীর কাশেম, লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক আকিব নেওয়াজ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলম উদ্দীন।
লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সহকরী শিক্ষিকা হ্যাপি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সহকরী শিক্ষক যথাক্রমে দিবা, ফাতেমা ফেরদৌস, নিগার সুলতানা, তানিয়া সুলতানা, রুনা, তুরিন, সমাপ্তি, শান্তা, এডমিন খালেদ মোশাররফ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাস যুদ্ধের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানী বাহিনীর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দিনটিকে জাতীয় বিজয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ দিনটি আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গৌরবের।
সভাপতির বক্তব্যে মো. সোহেল বলেন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শিশুদের সৃজনশীল মানুষ তৈরিতে, কল্পনার জগৎ বিস্তৃত করতে, মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে এবং দেশপ্রেম জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহ শিক্ষাকার্যক্রম পরবর্তী জীবনে সহায়তা ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেন উপস্থিত অতিথিরা। এরপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়৷ সর্বশেষে শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
Leave a Reply