প্রথমে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরবর্তীতে কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। এবার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার (৩০শে জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। দেশে করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সরকার গত মাস থেকে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখ সারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না জানান মন্ত্রী।
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২০ গুণ বেড়ে গেছে এটা আশংকাজনক। সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে। ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেয়া উচিত নয় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মৃদু বলে হালকা বলে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, লাগাম টানতে হবে এ সংক্রমণের। ভ্যাকসিন দেওয়ার কারণেই এখন মৃত্যুহার কম। অনেকেই পরীক্ষা করাচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে আক্রান্তের হার আরও বেশি বলে জানান তিনি।
এ মাসে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে প্রথম ডোজ দেওয়া। মোট লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১২ কোটি। মানুষ টিকা নিতে এখন কম আসছেন বলেও জানান তিনি। ১২ বছরের ওপর সবাইকে টিকা দেওয়া হবে এ কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনসন থেকে পাওয়া সিঙ্গেল ডোজের টিকা ভাসমান মানুষকে দেয়া হবে। পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে। ৯ কোটি হাতে আছে। আরও ৫ কোটি আসার প্রক্রিয়ায় আছে। আবার নিজেদের দেশে টিকা তৈরির কাজ চলছে।