মোঃইনামুল হক,রংপুর প্রতিনিধি >>> নিজেদের ১০ম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্লে-অফেরদৌড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো চট্টগ্রাম কিংস। গতকাল লিগ পর্বে এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে উঠলো চট্টগ্রাম। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট আছে দুর্বার রাজশাহীরও। রান রেটে এগিয়ে তৃতীয়স্থানে উঠলো চট্টগ্রাম। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে আছে খুলনা টাইগার্স। বাকী ২ ম্যাচের ১টিতে খুলনা হেরে গেলেই তৃতীয় ও চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে উঠবে যথাক্রমে- চট্টগ্রাম ও রাজশাহী। রংপুরের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জয়ে লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালসের। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিপিএল থেকে বিদায় নিলো ঢাকা। প্রথম আট ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিলো রংপুর। টানা তিন ম্যাচ হেরে শীর্ষস্থান হারালো রংপুর। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয়স্থানে এখন রংপুর। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় রংপুর। রানের খাতা খোলার আগেই চট্টগ্রামের পেসার শরিফুল ইসলামের শিকার হন রংপুরের ওপেনার স্টিভেন টেইলর। শুরুর ধাক্কার পর পাওয়ার প্লেতে আরও ২ উইকেট হারায় রংপুর। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ১৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ এবং তিন নম্বরে সাইফ হাসান ৮ রানে আউট হন। ৩৭ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সফল হয়নি রংপুর। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক নুরুল হাসান ৯ ও ইরফান শুক্কুর ১ রানে আউট হন। ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। দলকে চাপ ম্ক্তু করতে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ইফতিখার আহমেদ ও মাহেদি হাসান। সাবধানে খেলে ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে দলের রান ১শতে নেন তারা। ১৭ ওভার শেষে রংপুরের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০২। শেষ ৩ ওভারে ইফতিখারের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৪১ রান পায় রংপুর। এতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। ষষ্ঠ উইকেটে ইফতিখার ও মাহেদি ৪৭ বলে ৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ বলে অপরাজিত ৬৫ রান করেন ইফতিখার। ৩টি বাউন্ডারিতে ২০ বলে অনবদ্য ২২ রান করেন মাহেদি। খালেদ ২টি, শরিফুল-শামিম ১টি করে উইকেট নেন। ১৪৪ রানের টার্গেটে ভালো শুরু পায়নি চট্টগ্রামও। তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট আউট হন ওপেনার লাহিরু মিলানথা। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ভালো শুরুর করেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিন নম্বরে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক। এরপর মিডল অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি জুটিতে লড়াইয়ে ফিরে চট্টগ্রাম। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের সাথে ২৭ বলে ৩৪ এবং চতুর্থ উইকেটে হায়দার আলির সাথে ৩৪ বলে ৪৩ রান যোগ করেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। মিথুন ২টি ছক্কায় ২০ এবং ইমন ২টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ বলে ৪১ রান করেন। দলীয় ১১৮ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর শেষ ১৮ বলে ২০ রানের দরকার পড়ে চট্টগ্রামের। পেসার আকিফ জাভেদের করা ১৮তম ওভারের প্রথম চার বলে চারটি ছক্কা মেরে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন হায়দার আলি। ৬টি ওভার বাউন্ডারি ও ১টি বাউন্ডারিতে ১৮ বলে ৪৮ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন হায়দার। রংপুরের আকিফ ও সাইফুদ্দিন ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন হায়দার