ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি পূর্ব বাকলিয়াতে কিছু মানুষ বারই পাড়া খাল খনন প্রকল্পের কাজে নানা রকম বাধা দিচ্ছেন। আমি তাদের বলতে চাই, যদি কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা কিন্তু কোনো ড্রয়িং রুম থেকে আসিনি, আমরা রাজপথ থেকেই কিন্তু এখানে এসেছি। কাজেই এখানে কোনো মাস্তানি-সন্ত্রাসী করে জনদুর্ভোগ করা হলে এটা কখনো বরদাশত করা হবে না।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে পূর্ব ষোলশহর জীবন মিস্ত্রি সড়কে বারইপাড়া নতুন খাল খনন প্রকল্প পরিদর্শনকালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প সম্পন্ন হলে নগরের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে, এ কারণে এ প্রকল্প সম্পন্ন করার বিষয়ে আমি বদ্ধপরিকর। এ প্রকল্পের কাজের মান ভালো হতে হবে। বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প এলাকা অত্যন্ত নয়নাভিরাম হওয়ায় এখানে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত একটা পর্যটন স্পট ইনশাআল্লাহ আমি করব। শহরের মধ্যে এ ধরনের পর্যটন স্পট হলে নাগরিকরা সুস্থ বিনোদনের একটি জায়গা পাবেন এবং এলাকায়ও কর্মসংস্থান বাড়বে।
এর আগে কালামিয়া বাজারে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে নালানর্দমা অপরিষ্কার থাকা। একটি খাল দেখলাম, এটা মনে হচ্ছে একটা ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে গেছে। সব ডাস্টবিনের ময়লা এখানে ফেলা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আমাদের নিজ দায়িত্বে এই শহরকে আমার শহর মনে করে ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। আমরা কোনো খালকে ডাস্টবিন করতে চাই না। ঐখানে ডাস্টবিন আছে। না হলে আরো একটা ডাস্টবিন আমি করে দেব ইনশাআল্লাহ। ওই ডাস্টবিনে আপনারা ময়লা ফেলবেন। এ শহর আমার একার না, সবার। তাই আমাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের রাজনৈতিক সচিব মারুফুল হক চৌধুরী মারুফ প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক
Leave a Reply