মোঃসরওয়ার আলম চৌধুরী, বাঁশখালী
বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে জলদস্যুর হামলায় ফিসিং বোটের মাঝিকে নিহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জেলে মাঝি মোহাম্মদ মোকাররম বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের মোহাম্মদ ইসমাইল কোম্পানির ফিসিং ট্রলারে চাকরি করতেন তিনি কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মৃত জাফর আহমদ সিকদারের ছেলে। একদল ডাকাত মোকাররম মাঝিকে গুলি করে হত্যার পর সাগরে লাশ ফেলে দিয়ে ১৯ মাঝি- মাল্লাকে জিম্মি করে ফিশিং ট্রলারটি লুট করে নিয়ে গেছে। ট্রলারে থাকা ১৯ মাঝিমাল্লাকেই অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। নৌবাহিনী ও কোষ্ট গার্ড নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৪ টার দিকে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের ইসমাইল কোম্পানির মালিকানাধীন ‘এফবি আল্লাহর দান’ নামক ফিশিং ট্রলারে এই ডাকাতি ও হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মোকাররম মাঝিসহ ২০ মাঝিমাল্লা নিয়ে বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নে ইসমাইল মাঝির মালিকানাধীন ‘এফবি আল্লাহর দান’ নামক ফিশিং ট্রলারটি গত সোমবার সাগরে মাছ ধরতে যায়। ট্রলারে ২০ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে গভীর সাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে তারা জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এসময় চলন্ত ট্রলারটিতে গুলি করে মাঝি মোহাম্মদ মোকাররমকে হত্যার পর সাগরে লাশ ফেলে দেন। গুলিতে তার বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। সকালে আত্মীয় স্বজনরা নিহত মোকাররমের লাশ উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, সাগরের বাঁশখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী চ্যানেলে ইদানিং ডাকাতি ও জলদস্যুতা আশংকা জনকহারে বেড়েছে। প্রতিনিয়ত হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে সাগরে। এতে করে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া মাঝিমাল্লারা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত ও ডাকাতির ঘটনা বাঁশখালী সীমান্তের বাইরে। যেহেতু লাশটি বাঁশখালী হাসপাতালে এনেছেন। তাই সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রলার মালিক ও মাঝিমাল্লাদের বাড়ি বাঁশখালী এবং কুতুবদিয়া থানায় হলেও ঘটনাস্থল বাঁশখালীর বাইরে হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হবে বলে জানান ওসি সাইফুল ইসলাম।